বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অন্যদিকে, কংগ্রেস কিন্তু দলের প্রাক্তন নেতাকে ওয়াকওভার দিতে নারাজ। বিজেপির থেকেই শিক্ষা নিয়েই তারা যাদব কার্ড খেলেছে। হাত শিবিরের প্রার্থী রাও যাদবেন্দ্র সিং। কে পি সিংয়ের মতো তিনিও যাদব। গতবার যাদব ভোট টেনে বাজিমাত করেছিলেন কে পি। এই সম্প্রদায়ের ভোট মোটেই কম নয়। গুনায় প্রায় আড়াই লক্ষ। আর যাদবেন্দ্রও রাজনীতিতে আনকোরা কেউ নন। তিনিও দলবদলে কংগ্রেসে এসেছেন। মুঙ্গাওলির তিনবারের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রাও দেশরাজ সিং যাদবের ছেলে যাদবেন্দ্র। ১৯৯৯ সালে যাদবেন্দ্রর বাবা হেরে গিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্যর বাবার কাছে। ২০০২ সালে মাধররাওয়ের মৃত্যুর পর গুনায় উপনির্বাচনেও জ্যোতিরাদিত্যর কাছে হারতে হয় দেশরাজকে। ২০২৩ সালে তাঁর ছেলে যাদবেন্দ্র শিবির বদলেছেন। মুঙ্গাওলিতে লড়াই করেও সাফল্য পাননি। কিন্তু এবার গুনাায় তাঁকেই প্রার্থী করে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।
গুনা লোকসভা কেন্দ্রে আটটি বিধানসভা। গুনা, মুঙ্গাওলি, কোলারস, বামহোরি, আশোক নগর, শিবপুরী, পিচোরে ও চান্দেরি। এরমধ্যে ছ’টিই বিজেপির দখলে। ওবিসি বহুল এই আসনে যাদবদের মতো লোধি সম্প্রদায়েরও ভোটও প্রায় সমান। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজেপির ভালোপ্রভাব রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও নিশ্চিত হতে পারছে না বিজেপি। কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণার পর তড়িঘড়ি গত ২৭ মার্চ যাদব সম্প্রদায়ের বৈঠক আয়োজন করতে হয় তাদের। সেখানে জ্যোতিরাদিত্য তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ও কে পিও উপস্থিত ছিলেন। জ্যোতিরাদিত্যর হয়েছে ‘ঘর পোড়া গোরুর সিঁদুরে মেঘ’ দেখার অবস্থা। গতবার তাঁকে যিনি হারিয়েছিলেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়েই বিজেপিতে এসেছিলেন। তিনিও ২০১৮ সালে মুঙ্গাওলি বিধানসভা আসনেই হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বছরই গুনায় ইন্দ্রপতন ঘটিয়েছিলেন। যাদবেন্দ্রর সঙ্গে এ ব্যাপারে কে পির অনেকটা মিল। শুধু বদলে গিয়েছে দল।