বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দক্ষিণ দিল্লির কৈলাস কলোনির বাড়ি থেকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মরদেহ যখন দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়, তখন সকাল ১১টা বাজতে মিনিট পাঁচেক বাকি। জেটলিকে একপলক দেখার জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিলেন অগণিত মানুষ। অরুণ জেটলির মরদেহ বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছতেই স্লোগান ওঠে, ‘জেটলিজি অমর রহে’। দলীয় কার্যালয়ের হলঘরে নিয়ে আসা হয় জেটলির মরদেহ রাখা কাঁচের বাক্সটি। ফুলের পাপড়ি হাতে প্রথম এগিয়ে এলেন অরুণ জেটলির স্ত্রী সঙ্গীতা জেটলি। চোখে জল। ফুল দেওয়ার পরেই মাথা ঠেকালেন কাঁচের বাক্সে। জড়িয়ে রইলেন বেশ খানিকক্ষণ। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে পিছনে এসে দাঁড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে আবেগমথিত হয়ে পড়লেন মেয়ে সোনালি এবং ছেলে রোহন। কেন্দ্রীয় কর্যালয়েই জেটলিকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারির মতো বিজেপির শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা। ছিলেন বাবা রামদেব, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও।
চন্দ্রবাবু বলছিলেন, ‘অরুণ জেটলিকে আমি গত আড়াই দশক ধরে চিনি। অন্ধ্রপ্রদেশকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন।’ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, ‘নতুন ভারত গড়ার কারিগর ছিলেন অরুণ জেটলি।’ গাদকারি বলেন, ‘দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংগঠনের সদস্য থেকে দেশের অর্থমন্ত্রী। রাজনীতি এবং সরকারে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’ বিজেপি কার্যালয় থেকে অরুণ জেটলির মরদেহ নিগমবোধ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় বেলা ১টায়। শেষযাত্রার গাড়ির সঙ্গে ছুটে যান অসংখ্য কর্মী-সমর্থক। নিগমবোধ ঘাটে তখন উপস্থিত বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সহ তাবৎ বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী।