নয়াদিল্লি ও গুয়াহাটি, ২৩ জুলাই (পিটিআই): ২০ শতাংশ নমুনা পুনরায় যাচাই করে দেখার অনুমতি বাতিল করে অসমের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশের সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে সংশোধন ও সংযোজনের জন্য কেন্দ্রীয় ও অসম সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু অসমের এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হ্যাজেলার রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্র এবং অসম সরকারের পক্ষে তাদের বক্তব্য আদালতে পেশ করেন যথাক্রমে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। দুই সরকারের তরফেই ১৯ জুলাই দেশের শীর্ষ আদালতে জানানো হয় যে, আন্তর্জাতিক বিশ্বে ভারত কখনই শরণার্থীদের (উদ্বাস্তুদের) রাজধানী হতে পারে না। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য দুই সরকারের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল যে, অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। এদিন অবশ্য সেই অবস্থান থেকে সরে এসে দেশের শীর্ষ আদালত এই সময়সীমা একমাস বাড়িয়ে দিল।
এদিকে, অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে যে রটনা করা হয়েছে, তা ‘সর্বৈব মিথ্যা’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন অসমের এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হ্যাজেলা। রবি ও সোমবার কয়েকটি দৈনিকে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভূক্তির খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সোমবারই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হজেলা বলেছেন, ‘মিডিয়াতে আলম হুসেন মজুমদার বলে একজনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। বেআইনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী এই ব্যক্তিকে কাছাড় থেকে একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু, আলম হুসেন মজুমদারের নাম মোটেই অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নেই। কারণ, ওর জন্মের শংসাপত্রটি ভুয়ো এবং পারিবারিক সূত্র ধরেও ওর নাম নাগরিকপঞ্জিতে রাখার কোনও যৌক্তিকতা ছিল না।’