বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেন, ভারত-চীন সীমান্তে সড়ক ও পরিকাঠামো নির্মাণের ব্যাপারে যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নিয়েছি, আশা করছি, আগামী দু’-আড়াই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করে ফেলতে পারব। সামরিক বিশারদদের কথায়, সীমান্তবর্তী কৌশলগত প্রকল্পগুলোর কাজ এগোনোর জন্য প্রতিপদে বিআরও-কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর প্রথম দফা সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বারবার সীমান্তে সড়ক এবং পরিকাঠামো নির্মাণের কাজকে নজরদারিতে রেখেছিলেন। সাউথ ব্লকের এক শীর্ষ আমলা ফোনে জানান, মোদি সরকারের প্রথম দফার শেষের দিকে চীন সীমান্তে পরিকাঠানো তৈরি নিয়ে প্রায় বারদশেক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে, কাজের অগ্রগতি কী, সীমান্তের ওপার থেকে কোনওরকম প্রতিবন্ধকতা আসছে কি না, সেই বৈঠকে ছিল আলোচ্য বিষয়। উল্লেখ্য, ডোকা লা ইস্যুর পরই ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে মোদি সরকার বেশ খানিকটা কড়া মনোভাব নেয়। গয়ংগচ্ছ মনোভাব ছাড়তে বাধ্য হন সাউথ ব্লকের শীর্ষকর্তারা।
ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামের এক সেনাকর্তা বলেন, মানতে অসুবিধা নেই, সীমান্তের ওপারে চিন যখন তাদের পরিকাঠামোকে অত্যাধুনিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। ভারতের দিকে সীমান্তবর্তী অনেক রাস্তাই এখনও কাঁচা। ১৫ বছর আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ৪ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটারব্যাপী সীমান্তে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় ৭৩টি রাস্তা নির্মাণের কথা ছিল। হয়েছিল মাত্র ২৭টি। সমস্যা ছিল দু’টি জায়গায়। প্রাক্তন বিদেশসচিবরা বারবার চেষ্টা করেও কাজ এগতে পারেননি। কেন না সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সিপিডব্লিউডি-র পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে বারবার সুপারিশ করা হতো যে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে রাস্তা বানানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। বিদেশ মন্ত্রক বহু চেষ্টা করেও এই যুক্তি খণ্ডন করতে পারেনি। তা ছাড়া, রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মানকারী সরকারি সংস্থা যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা পেয়ে যায়, তা হলে দুর্নীতি বাড়বে— এমন সওয়ালও করা হতো। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেই প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বৈঠক করে কাজের পদ্ধতির বদলের সিদ্ধান্ত নেন।