বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তামিলনাড়ুর অজ-গাঁয়ের একেবারে ছাপোষা গরিব পরিবারের ছেলে ছিলেন রাজাগোপাল। সেই রাজাগোপালই একদিন সত্যিকারের ‘রাজা’ হয়ে চমকে দিয়েছিলেন খাদ্য-রসিকদের। বিশ্বজুড়ে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল ‘ধোসা কিং’ নামে। চেন্নাইয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘সরভানা ভবন’। দক্ষিণ ভারতীয় খানাপিনার অন্যতম ঠিকানা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর চেইন রেস্টুরেন্টের ব্যবসাও। বর্তমানে ২০টি দেশে রয়েছে রাজাগোপালের রেস্টুরেন্ট।
সবকিছুই চলছিলও ঠিকঠাক। জীবনের ছন্দপতন হল ২০০১ সালে। তখন রাজাগোপালের বয়স ৫৫ বছর। ওই বয়সেই তৃতীয়বার বিয়ে করতে চাইলেন ‘ধোসা কিং’। পাত্রী হিসেবে বাছলেন নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর স্ত্রীকে। কিন্তু সংসার ছেড়ে রাজাগোপালকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না ওই মহিলা। রাজাগোপালও নাছোড়। ওই বছরই অক্টোবর মাসে লোক লাগিয়ে ‘ধোসা কিং’ খুন করালেন ওই মহিলার স্বামীকে।
সেই খুনের মামলায় রাজাগোপালের যাবজ্জীবনের সাজা হয় আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। গত মার্চ মাসে রাজাগোপালকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। গত ৯ জুলাই তাঁর আত্মসমর্পণের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আত্মসমর্পণের পর চেন্নাইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালের বন্দি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল অসুস্থ রাজাগোপালকে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন রাখেন রাজাগোপালের ছেলে।
সেই আবেদন মঙ্গলবারই মঞ্জুর করে আদালত। ওই দিনই রাজাগোপালকে সরকারি হাসপাতাল থেকে চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ সেখানেই ‘ধোসা কিং’ মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাসপাতালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘সেপটিক শক’। এর চেয়ে বেশিকিছু তথ্য দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।