পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
মঙ্গলবার দ্য হেগে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের আইনি বিশেষজ্ঞ দল। অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মনসুর খানের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল। যাদব কাণ্ড নিয়ে পাকিস্তান যে কতটা চাপে রয়েছে, গত সপ্তাহে ফয়জলের মন্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট। ফয়জল বলেছিলেন, ‘আদালত কী রায় দেবে, আমরা আগে থেকেই তার বিচার করতে পারি না।’ তবে পাকিস্তান যে পুরো শক্তি নিয়ে যাদব মামলায় লড়াই করতে ঝাঁপিয়েছে, তা জানাতে ভোলেননি এই পাকিস্তানি কূটনীতিক।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি সেনা আদালত যাদবের মৃত্যদণ্ডের রায় দেওয়ার পরেই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের ৮ মে আইসিজেতে যায় ভারত। দিল্লির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরা হয়। যাদবকে ‘জোর করে স্বীকারোক্তি’ দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তাছাড়া, ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও যাদবের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়। এবছর গত ফেব্রুয়ারিতে আবার যাদব মামলার শুনানি শুরু হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তান আশ্রিত জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে সেই শুনানি আলাদা মাত্রা পায়। চারদিনের শুনানির সময় ভারত এবং পাকিস্তান তাদের যুক্তি তুলে ধরে। ভারতের হয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে পাকিস্তানের কুখ্যাত সেনা আদালতের কুকীর্তি তুলে ধরেন। জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে জানিয়ে যাদবের মৃত্যুদণ্ড রোধ করার দাবি জানানো হয়। অপরদিকে পাকিস্তানের আইনজীবী খাওয়ার কুরেশি বলেন, ‘যাদবকে ছেড়ে দেওয়ার ভারতের দাবি অবশ্যই রদ করা বা অগ্রাহ্য ঘোষণা করা হোক।’ পাকিস্তানের পাঁচদফা দাবিই খারিজ করে দেয় আইসিজে।