বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রাহুল গান্ধীর এই তোপ একটি মিডিয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯৩-৯৪ সালের পর থেকে এই প্রথম দেশের পুরুষ কর্মীদের চাকরির পরিসর সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ওই রিপোর্টের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কংগ্রেস সভাপতি এদিন ট্যুইটারে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাহুল গান্ধীর তোপ, ভেবেছিলাম ভারতে প্রতিদিন ৪৫০টি করে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে মোদির নীতির জন্য ২০১৮ সালে এক কোটি চাকরি ধ্বংস হয়েছে। এর অর্থ ২০১৮ সালে প্রতিদিন ২৭ হাজার করে চাকরি নষ্ট হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে তামাশায় পরিণত করেছেন।
এর আগে এদিন মণিপুরে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও চাকরির ইস্যুতে সরব হন রাহুল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে এক কোটি চাকরি ধ্বংস করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এটা তাঁর অদক্ষতার প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রীর দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ হাস্যকর। রাহুলের পাশাপাশি চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ইস্যুতে এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুণ্ডপাত করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও। ওই মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে দেশে ৪.৭ কোটি চাকরি গিয়েছে। তার ভিত্তিতে সুরজেওয়ালার তোপ, ৪.৭ কোটি অল্প বয়সির চাকরি ‘চুরি’ হওয়ার জন্য দায়ী ‘চৌকিদার’। এই কংগ্রেস নেতার আরও বক্তব্য, মোদিজি ৪.৭ কোটি অল্প বয়সির চাকরি খেয়ে ফেলেছেন। বিজেপির ‘পান-পকোড়া’ নীতির জন্য এই অবস্থা। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ হ্যাসট্যাগে সুরজেওয়ালার তোপ, ১০ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। উল্টে ৪.৭ কোটি চাকরি খেয়ে ফেলা হয়েছে। চাকরি চুরি হওয়ার জন্য দায়ী দেশের চৌকিদার। চাকরির ইস্যুতে মোদি সরকারকে নিশানা বানিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসের তথ্য দিয়ে তাঁর আবার দাবি, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দু’কোটি মানুষের চাকরি গিয়েছে।
কর্মসংস্থান ইস্যুর পাশাপাশি ইম্ফলের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাজকর্ম নিয়েও তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ‘প্রচারমন্ত্রীর অফিস’ বানিয়ে ফেলেছেন মোদি। মণিপুরের স্টেট ফিল্ম ডিভিশন সোশ্যাইটির পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্যেই রাহুলের বক্তব্য, কংগ্রেস ‘সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদে’ বিশ্বাস করে না। দেশের একটা অংশ অন্য বাকি অংশগুলির উপর ছড়ি ঘোরাক, তা চায় না কংগ্রেস। প্রতিটি অংশের মানুষের মতামত সম্মান পাওয়া উচিত। কিন্তু মোদি জমানায় এর উল্টো হচ্ছে। বিজেপি-আরএসএস যৌথভাবে তাদের ধারণা চাপানোর জন্য অন্য ধারণাগুলিকে পিষে দিচ্ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে চাকরির সঙ্কট মেটানো ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি আনায় জোর দিতে চায় কংগ্রেস। পাশাপাশি নাগরিকত্ব বিল নিয়েও মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেস সভাপতি।