বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয় কাশ্মীরের পুলওয়ামা। সিআরপিএফের কনভয়ে মানববোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৪০ জন জওয়ান। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর এই হামলা চালায় পাকিস্তান মদতপুষ্ট জয়েশ-জঙ্গিরা। ঘটনার পর থেকেই জওয়ানদের পরিবহণ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া সহ একাধিক মহলে। বিরোধীরাও জওয়ানদের কনভয়ের নিরাপত্তার ইস্যুতে মোদি সরকারের কড়া সমালোচনাও শুরু করেন। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক জওয়ানদের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও কেন তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল না, তা নিয়েও তোপের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। সেই বিতর্কের মাঝেই জওয়ান, কনস্টেবল সহ নিরাপত্তারক্ষীদের বিমানযাত্রায় ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে এই মুহূর্তে ৬৫ হাজার সিআরপিএফ জওয়ান রয়েছেন। এছাড়াও বিএসএফ, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিস, সিআইএসএফ, সশস্ত্র সীমা বল, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী (সিএপিএফ) সহ একাধিক সামরিক বাহিনীর কাঁধে রয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্ব। পাশাপাশি রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুলিস বাহিনীও। এখন কাশ্মীর উপত্যকায় বিমানে যাতায়াতে সুযোগ পান শুধুমাত্র বাহিনীর ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা সম্পন্ন আধিকারিক ও তার উঁচু পদমর্যাদার কর্তারা। তবে ২০১৭ সালে সিএপিএফ জওয়ানদের আকাশ পথে যাওয়ার অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সরকারি ট্যুইটারে বলা হয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে জওয়ান, কনস্টেবল, হেড কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর মিলিয়ে প্রায় সাত লক্ষ ৮০ হাজার সামরিক কর্মী উপকৃত হবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলওয়ামার হামলায় মৃতদের তালিকায় রয়েছেন জওয়ান ও সাব-অফিসার পদমর্যাদার কর্মীরা। এবার থেকে ওইসব পদমর্যাদার কর্মীরা কাশ্মীরে কর্তব্য পালনে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কাছে সেই টিকিট জমা দেওয়ার পর বিমানভাড়ার টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন তাঁরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিল্লি-শ্রীনগর, শ্রীনগর-দিল্লি, জম্মু-শ্রীনগর, শ্রীনগর-জম্মু যাতায়াতে এখন থেকে আকাশপথ ব্যবহারের ছাড়পত্র পেলেন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান ও অন্যান্য কর্মীরা। কাজে যোগ দেওয়া, বদলি, ভ্রমণ এবং ছুটির পর ফিরে আসা, এই চারটি ক্ষেত্রেই বিমানে যাতায়াতে ছাড়পত্র পেলেন তাঁরা। এর ফলে জওয়ানদের সড়কপথে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হল বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে দিল্লি থেকে কাশ্মীরের মতো উপদ্রুত রাজ্যে জওয়ানদের দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মত তাঁদের।