নয়াদিল্লি, ১২ জানুয়ারি: এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় বড় মোর। অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পাঁচ সরকারি কর্তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে কেন্দ্রের অনুমতি পেয়ে গেল সিবিআই। এই পাঁচ কর্তার মধ্যে রয়েছেন দু’জন প্রাক্তন অর্থসচিব অশোককুমার ঝা ও অশোক চাওলা। তাঁদের মধ্যে চাওলা বর্তমানে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। বিচারের প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রের সম্মতি মিলতেই এনএসই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনায় চাওলার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঝা ও চাওলা ছাড়াও পাঁচ কর্তার এই তালিকায় রয়েছেন কর্মরত দুই আইএএস অফিসার কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ ও দীপককুমার সিং। পঞ্চম অফিসারের নাম রাম শারন। অর্থমন্ত্রকের তৎকালীন সহকারী সচিব ছিলেন তিনি। এই পাঁচ কর্তাই ২০০৬ সালে অর্থমন্ত্রকে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফে বিশেষ আদালতে জানানো হয়, পাঁচ কর্তার বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রের সম্মতি মিলেছে। উল্লেখ্য, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস দুর্নীতির এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি।
২০০৬ সালে টেলিকম সংস্থা এয়ারসেলে মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিস কমিউনিকেশনের বিনিয়োগ ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সিবিআইয়ের বক্তব্য, সেই সময়ের বিদেশি বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে এই পাঁচ কর্তাই অর্থমন্ত্রকে কর্মরত ছিলেন। বিদেশি বিনিয়োগ প্রসার বোর্ডের (এফআইপিবি) সদস্যও ছিলেন। অর্থ বিষয়ক সচিব পদে কর্মরত ছিলেন ঝা। চাওলা ছিলেন অতিরিক্ত সচিব পদে। কৃষ্ণ যুগ্ম সচিব ছিলেন। বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদনের ক্ষমতা ছিল অর্থ বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির হাতে। সিবিআইয়ের বক্তব্য, এয়ারসেলে করা ম্যাক্সিসের বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু তা মাত্র ১৮০ কোটি টাকা বলে দাবি করা হয়। অনুমোদন দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছেন তিনি।