পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
আসলে সন্দেশখালির বিজেপি নেতার ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ‘স্বীকারোক্তি’ চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। কখনও তারা বলছে, ভিডিওটি জাল। কখনও বলছে, একজন কী বলল, তাতে কী আসে যায়। তাতে অবশ্য বিরোধীদের হাতে উঠে আসা অস্ত্র ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে না। শশী পাঁজা বলেন, ‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে এমনই দেউলিয়া যে, ধর্ষণের মতো একটি নারকীয় বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে হচ্ছে? তাও আবার সবটাই মিথ্যা! বাংলাকে অসম্মানে বঙ্গ বিজেপির এই চক্রান্ত সামনে আসার পর এখন প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? কেন কিছু বলছেন না অমিত শাহ?’ তৃণমূলের সাফ কথা, ‘প্রধানমন্ত্রী হয়েও ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই না করে নরেন্দ্র মোদি বাংলায় গিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে প্রচার করছেন। জাতীয় স্তরে বাংলার বদনাম করছেন। তাহলে তো ভাইরাল ভিডিও নিয়েও বলা উচিত। সাহস থাকলে বলুন, ভিডিওটি জাল।’ একই সঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগের প্রসঙ্গও টেনেছে তৃণমূল। তাদের আক্রমণ, ‘উনি কেন কেরলে গিয়ে বসে আছেন? কর্ণাটকের এনডিএ শরিক নেতা প্রোজ্জ্বল রেভান্না, বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণ সিংয়ের নামে মহিলাদের অসম্মান, ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাঁরাই প্রিয় পাত্র! আর সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেইনি, তার প্রচার দেশজুড়ে?’ শশী পাঁজার বক্তব্য, ‘এভাবে বাংলায় ভোট পাবে বলে মনে করছেন মোদি? ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার হকের টাকা আটকে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখন ভোট পেতে বাংলাকে অপমান করছেন। সন্দেশখালির সরল মহিলাদের নিজেদের নোংরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে ব্যবহার করেছে বিজেপি। লজ্জা হল না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তথা বাংলাকে অপমান মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। বাংলার মানুষই ভোটে বিজেপিকে উচিত জবাব দেবে। মোদি রোজ বাংলায় প্রচারে গেলেও লাভ হবে না।’