পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
গত মার্চে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কিছুদিন পর শুরু হয়েছে আইপিএলের ম্যাচ। ফলে ধারাবাহিকভাবে গুগল ট্রেন্ডে এক নম্বরে রয়েছে টি-২০ টুর্নামেন্টের খবর। তরুণ প্রজন্ম এতেই মজেছে বেশি। ফলে ভোটের খবর বা আলোচনা চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগল ট্রেন্ডের প্রথম দশের তালিকায় প্রথমে আইপিএল থাকলেও দেশে যখন লোকসভা ভোট চলছে, তখন দ্বিতীয়তে রাজনীতির থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে পয়লা মে’র ছুটি, কোভিশিল্ড, দুবাইয়ের আবহাওয়া, মাধ্যমিকের ফল, বিস্ফোরণের হুমকি ইত্যাদি গুগল ট্রেন্ডের তালিকার প্রথম দশে থাকলেও, রাজনৈতিক বিষয়ের খোঁজখবর তলানিতে। গত এক সপ্তাহে মাত্র একদিন (২৮ এপ্রিল) একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউকে ঘিরে অনুসন্ধান হয়েছে ১০ হাজারের মতো। তার পরের দিনই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্পর্কে ইন্টারনেটে খোঁজখবরের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়া প্রোজ্জ্বল কাণ্ড ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক ইস্যু দাগ কাটতে পারেনি নেট দুনিয়ায়। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ বা ‘৪০০ পারের’ দাবি নিয়ে আগ্রহ নেই নেটিজেনদের। এমনকী, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচার নিয়েও নেট দুনিয়ায় বিশেষ কোনও প্রভাব নেই। অথচ, সিনেমা, শিক্ষা, ইলেকট্রিক আপ্লায়েন্স সম্পর্কে অনুসন্ধান চলেছে চুটিয়ে। বৃহস্পতিবার ছিল সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। এদিন দশ হাজারের বেশি সার্চ হওয়ায় গুগল ট্রেন্ডে সত্যজিৎ রায়ের নাম উঠে এসেছে পাঁচ নম্বরে।
রাজনীতির প্রতি কি নেটিজেনদের অনীহা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? সমাজতত্ত্ববিদ দেবদ্যুতি কর্মকার জানিয়েছেন, কিছুটা তাই। আশপাশে যা ঘটছে, সমাজমাধ্যম থেকে সেই সম্পর্কে উপর উপর খবর পেয়ে যা তাঁরা। ফলে আলাদা করে অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিতেই বেশি পছন্দ করছে এই প্রজন্ম।