পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বলেন, ‘তোমরা (বিজেপি) কুৎসা করে বলেছিলে, বাংলায় এবার ২০০ পার। দেশে বলছ, ৪০০ পার। আগে ২০০ তো পেরিয়ে দেখাও! তারপর ৪০০ বলবে। এবার হবে তোমরা পগারপার।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোদিবাবুর আমলে মানুষের জীবনের দাম কমেছে। শুধু নিজেদের দাম বেড়েছে। তোমার লোকেরা করে খাচ্ছে। কাল যখন তুমি থাকবে না, তখন এদেরও দেখা মিলবে না। সিপিএমের বিরুদ্ধে অনেক লড়াই করেছি। এখন বিজেপিও আমায় কাজ করতে দেয় না। সারাক্ষণ পিছনে লাগছে আর মিথ্যা বলছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা তিন বছর ধরে কেন দাওনি? একটা প্রমাণও তো দেখাতে পারোনি। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এসো। যদি ক্ষমতা থাকে পিসি-ভাইপোর নাম নিয়ে ডাকো। দেখব কত বড় বুকের পাটা। আসলে তোমরা ডাকাত। তোমাদের মন্ত্রীরা কয়লা, গোরুর টাকা খায়। ওটা তোমাদের ব্যাপার। মিথ্যা বলতে বলতে বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। এরকম ঝুটা পার্টি দেখিনি। এরকম প্রধানমন্ত্রী দেখিনি।’ রাজ্যের পরিষেবা বন্ধে গেরুয়া হুমকির প্রসঙ্গ টেনেও মমতার হুঙ্কার, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে হলে আগে আমার মুখ বন্ধ করতে হবে। তোমার সাহসটা তারপর আমি বুঝে নেব। যদি মা তারা থাকেন, মোদিবাবু... সেই দিন আর বেশি দূরে নেই, আপনার মুখ বন্ধ করে দেব। বেশি অহঙ্কার ভালো নয়। এই লড়াইটা আমরা জিতব। সিপিএমকে উৎখাত করেছিলাম। যদি বেঁচে থাকি, বিজেপিকেও করব। আপনাদের শঙ্খধনি, উলুধ্বনিই আমার প্রেরণা। বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে।’
লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ক’টা আসন পাবে, সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, ‘আমি একবার গুনে দেখি! তুমি কি বড় জ্যোতিষী হয়ে গেলে? তুমি তৃণমূলকে জ্ঞান দিচ্ছ? নিজে পাঁচটা সিট পাবে তো?’ মমতা বলেন, ‘এই বাংলায় মিথ্যাচারের জায়গা নেই। বিজেপি টাকা দিয়ে যেভাবে বাংলার মা-বোনেদের সম্মানহানি করল, তা আর সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নিচ্ছে না। বিজেপির কপালে দুঃখ আসতে চলেছে।’ প্রত্যয়ী মমতার ঘোষণা, ‘টাকার জোরে এখন বড়াই করছ। আগামী দিনে ভারতবর্ষ থেকে তোমরা বিদায় নেবে। যত দিন যাচ্ছে, মোদির বুক কাঁপছে।’