কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন বাংলার অনেকগুলি জেলায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর প্রভৃতি। এই জেলাগুলির অনেকগুলি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় ভোটের ফলাফল নির্ভর করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মর্জির উপর। রাজ্যে এই সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা এক কোটির বেশি। আর তৃণমূল দলনেত্রীর এই বার্তাই একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিচ্ছেন মমতাবালা।
প্রথম পর্যায়ে, জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মতুয়াঅধ্যুষিত পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে প্রচার সেরেছেন মমতাবালা ঠাকুর। তিনি পৌঁছেছেন জলপাইগুড়ির সুকান্তনগর, বিবেকানন্দপল্লি, ধাপগঞ্জ, কচুয়া বোয়ালমারি, নগর-বেরুবাড়ি, ক্রান্তি, পূর্ব-সংঘপাড়া, দক্ষিণ-চেংমারি, চৌরঙ্গি ও ধনতলায়। মতুয়া পরিবারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তিনি বুঝিয়ে এসেছেন, সিএএ আসলে মোদিজির আরও একটি ভাঁওতাবাজি।
মমতাবলা ঠাকুর জানান, আমি দিদির নির্দেশেই এই প্রচার চালাচ্ছি। এর আগের কোনও নির্বাচনে আপনাকে তো এভাবে পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে প্রচার করতে দেখা যায়নি? তাহলে এবার কেন? বিজেপি বারবার আমাদের ঠকিয়ে ভোট নিয়ে চলে যাবে, তা হতে পারে না। তাই আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, সিএএ আসলেই গেরুয়া ভাঁওতা। নাগরিকত্বের জন্য আদপেই সিএএ’র প্রয়োজন নেই।
জলপাইগুড়ির পরে মমতাবালা বালুরঘাট এবং দুই দিনাজপুরের পাড়ায় পাড়ায় প্রচারের জন্য পৌঁছে যান। বালুরঘাটে ডাঙাপাড়া ফরেস্ট, কদমতলি, হরিশ্চন্দ্রপুর ও হরিরামপুরে গিয়েও প্রচার চালিয়েছেন তিনি। তিনি গিয়েছেন মালদহ উত্তর কেন্দ্রের জগজীবনপুর, পার্বতীডাঙা, শিমলা, খুটাদহ, মুদিপুকুর, খকসন ও হরিশঙ্করপুর এলাকায়। শনিবার মালদহ জেলার দুটি সভাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে, মতুয়াদের কথা তুলে ধরতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন মমতাবালাকে। রবিবার মমতাবাল পৌঁছে গিয়েছেন হুগলি জেলায়। একইভাবে তিনি প্রচার চালাবেন দক্ষিণবঙ্গের মতুয়াঅধ্যুষিত অন্য জেলাগুলিতেও। বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রার্থীরাও।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মতুয়া ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রচার অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মতুয়াদের সংগঠন ‘শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন’ স্বাধীন প্রার্থী দিয়েছে বারাসত, বনগাঁ এবং কৃষ্ণনগরে। সেই ক্ষেত্রেও মমতাবালার এই প্রচার কাজে দেবে বলেই তাঁদের মত।