কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন তপসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে রবীন্দ্র ভবনে নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মঞ্চেই এদিন নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আরও তোপ দাগেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ বিক্রির আগে নানা পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। যাতে মানুষের শরীরে ক্ষতি না হয়। এখানে বিজেপিকে চাঁদা দিয়ে অনেক কোম্পানি ওষুধ বাজারে আনার অনুমতি নিয়ে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, উনি প্রচার মন্ত্রী। প্রচার পাওয়ার জন্য নিজের মাকেও নোটবন্দির সময়ে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। নোটবন্দির জন্য কত মানুষ মারা গিয়েছে, আপনারা কি ভুলে গিয়েছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-বোনেদের হাতে হাজার, ১২০০ টাকা দিচ্ছেন। আর নোট বন্দিতে মা-বোনেদের লুকনো সব টাকা নষ্ট হয়েছিল মোদিজির জন্য।
এদিন অটল বিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আদবানির প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন, অটলজি, আদবানিজির আমলে লোকতন্ত্র ছিল। আর মোদিজির আমলে স্বৈরতন্ত্র রয়েছে। কোনও আত্মসম্মান থাকা মানুষ তাঁর সঙ্গে চলতে পারবেন না। ২৭ বছর বিজেপিতে থাকার পর আমিও তাই সরে এসেছিলাম।
যদিও বিজেপির আসানসোল লোকসভার কনভেনর দিলীপ দে বলেন, ভিত্তিহীন কথা বলছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর কাছে এর কোনও প্রমাণ থাকলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করুন। তাঁর তো অনেক টাকা। তাঁর দলের কাছে তো কালো টাকার অভাব নেই। পরাজয় হচ্ছে বুঝতে পেরে বিস্ফোরক কথা বলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের মানুষজন ভিড় করেন। তাঁদের সঙ্গে ধামসা বাজান শত্রুঘ্ন। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সিপিএম সরকার আদিবাসীদের জন্য কিছুই করেনি। অলচিকি ভাষার স্বীকৃতিটুকু দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছেন। শুধু ভাষার স্বীকৃতি নয়, আদিবাসী মানুষদের সম্মান দিয়েছেন মমতা। - নিজস্ব চিত্র