কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
হাইভোল্টেজ লোকসভা আসন বনগাঁয় মোট ভোটারের প্রায় ৬৪ শতাংশ মতুয়া, নমঃশূদ্র এবং অন্যান্য তফসিলি জাতিভুক্ত। সিংহভাগই উদ্বাস্তু। ভোট এলেই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার টোপ দেয় বিজেপি। ২০১৪ ও ১৯’এর লোকসভা, ২১’এর বিধানসভার মতো এবারও তার অন্যথা হয়নি। সিএএ কার্যকর করার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তাতে কেউ আবেদন করেছেন কি না, সংশয় রয়েছে মতুয়াদের মধ্যে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত একজনও আবেদন করেনি সিএএ’তে। ফলে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। এমপি হিসেবে তিনি কী কী করেছেন, শনিবার সকালে তার ফিরিস্তি সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন শান্তনু। কিন্তু তালিকায় নেই নাগরিকত্বের সেই গ্যারান্টি। একজোড়া বন্দে ভারত ট্রেনের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন, তার একটি বনগাঁ থেকে দীঘা হয়ে পুরী যাবে। অপরটি বনগাঁ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। প্রতিশ্রুতির ফানুস এখানেই থামেনি। মেট্রোয় বনগাঁর সঙ্গে তিনি জুড়তে চেয়েছেন দমদম ও কল্যাণীকে। তাঁর দাবি, বিমানবন্দরও হবে কল্যাণীতে। যদিও বনগাঁর সাধারণ মানুষ বলছেন, বিজেপি প্রার্থীর এই ধরনের প্রস্তাব আসলে অশ্বডিম্ব। সদিচ্ছা থাকলে মন্ত্রী থাকাকালীনই এলাকার জন্য বড় কিছু করতে পারতেন। যে সরকার বাংলার মানুষের ১০০ দিনের মজুরি, আবাস প্রকল্পের টাকা আটকেছে, তার প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর। কই, বাংলার বকেয়া নিয়ে তাঁর গ্যারান্টিতে তো এসব কিছুই নেই?
মতুয়া মহাসঙ্ঘের নতুন সদস্য কার্ডের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৮৫ টাকা। আর ওই কার্ড নবীকরণে এক বছরের জন্য দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। এই কার্ড থাকলেই নাগরিকত্বের দাবিদার হওয়া যাবে, এমন প্রচার চালাচ্ছিল বিজেপি। দলীয় প্রচারে গিয়ে শান্তনুর সদম্ভ ঘোষণা ছিল, তৃণমূলের লোককে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুরের প্রচার ছিল, ভোটের আগেই নাগরিকত্ব প্রদান হবে। তা তো হয়নি। তাই নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন।’ যদিও শান্তনুর দাবি, ‘ওখানে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা লেখা ছিল। হয়তো পোস্ট করার সময় ছবি থেকে কেটে গিয়েছে।’