গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ সিরাজুদ্দিন এসএসসির পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল রিজিওনের চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ইন্দপুরের শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। কিন্তু দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন সিরাজুদ্দিন। তাঁর মোবাইলও বন্ধ ছিল। এরই মাঝে তিনি বাঁকুড়া আদালতে আগাম জামিনের আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপরই তৎপর হয় সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এদিন আদালত চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্নে কোনও উত্তর দেননি এসএসসি’র প্রাক্তন কর্তা। শিক্ষা দপ্তর ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। সেই মামলাতেই আদালতের নির্দেশমতো বাঁকুড়ার ডিআই পীযুষ কান্তি বেরা বাঁকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনায় সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করে। পরে সিআইডি তথ্য প্রমান জোগাড় করে জেসমিন খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ, বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন জেসমিন খাতুন। তিনি ইন্দপুরের ভতড়া শ্রীদূর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলের শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। সেখানে নবম দশম শ্রেণীর সংস্কৃতের শিক্ষিকা হিসেবে ২০১৯ সালে নিয়োগ পান। গ্রেপ্তারের পর অবশ্য বাঁকুড়া জেলা শিক্ষা দপ্তর তাঁর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে, শালডিহা কলেজে বিগত কয়েক বছর ধরে অধ্যক্ষ পদেও চাকরি করছেন সিরাজুদ্দিন। সরকারি আইনজীবী বলেন, স্ত্রীকে শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রভাব খাটিয়েছিলেন সেখ সিরাজুদ্দিন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে এমনই তথ্য হাতে আসে সিআইডির গোয়েন্দাদের। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে সিআইডি তথ্য সংগ্রহ করবে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র, সরকারি পদে থেকে প্রভাব খাটানো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই এসএসসির প্রাক্তন পরামর্শদাতা শান্তি প্রসাদ সিনহা, এসএসসি বোর্ডের তৎকালীন সচিব অশোক কুমার সাহা গ্রেপ্তার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন। শালডিহা কলেজে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ছুটিতে ছিলেন শেখ সিরাজুদ্দিন। পরে তিনি ইমেল মারফত ছুটির মেয়াদ ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অধ্যক্ষর ছুটির মেয়াদ শেষ হলে, পরিচালন সমিতির বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।