সকাল সাড়ে ১০টা। বরানগরের এক তৃণমূল কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড়। মাঝে বসে আছেন নেতা। তাঁকে ঘিরে সবার প্রশ্ন, ‘দাদা কোনও খবর আছে?’ মাথা নেড়ে ‘না’ জানিয়েই ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন সেই নেতা।
গত পাঁচ বছর ধরে উত্তর মালদহ কেন্দ্রে সংসদ সদস্য হিসাবে কাজ করছি। আমার সময়কালের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার তথা প্রশাসনের তেমন সহযোগিতা পাইনি। নিয়ম মেনে বৈঠক পর্যন্ত করা হয় না আমার সঙ্গে।
গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কল্যাণী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভা বিগত বছরের সামগ্রিক আর্থিক হিসেব জমা দেয়নি। এজন্য চলতি অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ একেবারে অন্তিমে। চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে কেন্দ্রের থেকে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি টাকাও আসেনি রাজ্যে। কিন্তু কেন? এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত দিয়েছিল দিল্লি। তার মধ্যে অন্যতম, একটি রাজ্যের ১০০ শতাংশ ইউএলবি’র (পুরসভা) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের আর্থিক হিসেব এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের অভ্যন্তরীণ হিসেবের অডিট রিপোর্ট জমা পড়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, রাজ্যের ১২৬টি পুরসভা এই সমস্ত হিসেব নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করলেও কল্যাণী এবং কাঁচরাপাড়া তা করেনি। পুরসভাগুলির আপলোড করা এই সমস্ত হিসেব পুরদপ্তর খতিয়ে দেখার পরেই জমা হয় কেন্দ্রের কাছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র এই দুটি পুরসভার জন্যেই রাজ্যের সম্পূর্ণ টাকা আটকে গেল! এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শীর্ষকর্তারাও। হিসেব নির্দিষ্ট সময়ে জমা পড়েনি কেন? জানতে চাওয়া হয়েছিল দুই পুর চেয়ারম্যানের কাছে। কল্যাণীর চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এই হিসেব বাকি ছিল। সেই কাজ গত দু’বছরে শেষ করার চেষ্টা করেছি। এখন চলছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের কাজটি। আর ১৫ দিনের মধ্যেই এটা শেষ করার চেষ্টা করছি আমরা। প্রায় একই যুক্তি দিয়েছেন কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীও। তিনি বলেন, সাতবছরের হিসেব দেওয়া বাকি ছিল। আমরা তিনবছরের কাজ করে ফেলেছি। বাকি চারবছরের কাজ শেষ হতে আরও তিনমাস প্রয়োজন। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রায় ১৭টি পুরসভার এই হিসেব দেওয়া বাকি ছিল। পুরদপ্তরের তরফে একাধিকবার তাগাদা দেওয়ায় সদ্য ১৫টি পুরসভা এই হিসেব শেষ করেছে। কিন্তু শুধুমাত্র দুটি পুরসভার জন্য এই অর্থবর্ষে আর এই টাকা পাওয়া সম্ভব হল না। জানিয়েছেন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। অন্যদিকে, শুক্রবার রাজ্যের ৩১টি পুরসভাকে পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কিস্তির ৩৫ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা পুরদপ্তরের তরফে ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কালনা, ক্ষীরপাই, মেখলিগঞ্জ, সোনামুখী, সিউড়ি, গারুলিয়া, চাকদহ, ডানকুনি, রাজপুর-সোনারপুর এবং উত্তর দমদমের মতো পুরসভাগুলি। কলকাতাসহ ১৭টি পুরসভার চতুর্থ কিস্তি ছাড়ার জন্য অর্থদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে পুরদপ্তর। তবে ৮০টি পুরসভা প্রথম কিস্তির টাকা খরচের হিসেব এখনও রাজ্যকে দেয়নি। এটা না দিলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়াও সম্ভব নয়। জানাচ্ছে সূত্র।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ একেবারে অন্তিমে। চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে কেন্দ্রের থেকে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি টাকাও আসেনি রাজ্যে। কিন্তু কেন? এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত দিয়েছিল দিল্লি। তার মধ্যে অন্যতম, একটি রাজ্যের ১০০ শতাংশ ইউএলবি’র (পুরসভা) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের আর্থিক হিসেব এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের অভ্যন্তরীণ হিসেবের অডিট রিপোর্ট জমা পড়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, রাজ্যের ১২৬টি পুরসভা এই সমস্ত হিসেব নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করলেও কল্যাণী এবং কাঁচরাপাড়া তা করেনি। পুরসভাগুলির আপলোড করা এই সমস্ত হিসেব পুরদপ্তর খতিয়ে দেখার পরেই জমা হয় কেন্দ্রের কাছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র এই দুটি পুরসভার জন্যেই রাজ্যের সম্পূর্ণ টাকা আটকে গেল! এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শীর্ষকর্তারাও। হিসেব নির্দিষ্ট সময়ে জমা পড়েনি কেন? জানতে চাওয়া হয়েছিল দুই পুর চেয়ারম্যানের কাছে। কল্যাণীর চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এই হিসেব বাকি ছিল। সেই কাজ গত দু’বছরে শেষ করার চেষ্টা করেছি। এখন চলছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের কাজটি। আর ১৫ দিনের মধ্যেই এটা শেষ করার চেষ্টা করছি আমরা। প্রায় একই যুক্তি দিয়েছেন কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীও। তিনি বলেন, সাতবছরের হিসেব দেওয়া বাকি ছিল। আমরা তিনবছরের কাজ করে ফেলেছি। বাকি চারবছরের কাজ শেষ হতে আরও তিনমাস প্রয়োজন। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রায় ১৭টি পুরসভার এই হিসেব দেওয়া বাকি ছিল। পুরদপ্তরের তরফে একাধিকবার তাগাদা দেওয়ায় সদ্য ১৫টি পুরসভা এই হিসেব শেষ করেছে। কিন্তু শুধুমাত্র দুটি পুরসভার জন্য এই অর্থবর্ষে আর এই টাকা পাওয়া সম্ভব হল না। জানিয়েছেন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। অন্যদিকে, শুক্রবার রাজ্যের ৩১টি পুরসভাকে পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কিস্তির ৩৫ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা পুরদপ্তরের তরফে ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কালনা, ক্ষীরপাই, মেখলিগঞ্জ, সোনামুখী, সিউড়ি, গারুলিয়া, চাকদহ, ডানকুনি, রাজপুর-সোনারপুর এবং উত্তর দমদমের মতো পুরসভাগুলি। কলকাতাসহ ১৭টি পুরসভার চতুর্থ কিস্তি ছাড়ার জন্য অর্থদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে পুরদপ্তর। তবে ৮০টি পুরসভা প্রথম কিস্তির টাকা খরচের হিসেব এখনও রাজ্যকে দেয়নি। এটা না দিলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়াও সম্ভব নয়। জানাচ্ছে সূত্র।
