গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গুমা ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাস বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ছায়াসঙ্গী তুহিন দত্তের বাড়ি। সন্ধ্যায় সেখানে গিয়েছিল জমির দালাল গৌতম দাস। বিজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর গৌতম উপপ্রধান বিজনকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে যায়। তাদের পুরনো শত্রুতাও রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুমা স্টেশন লাগোয়া নিবেদিতা পল্লির রাস্তার ধারেই সরকারি জমি দখল করে বাড়ি বানিয়েছিল গৌতম। তার কাজে বারবার বাধা দেন উপপ্রধান বিজন দাস। তা নিয়ে বিজনের সঙ্গে গৌতমের শত্রুতাও ছিল পুরনো। উপপ্রধানের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বেআইনিভাবে জমি দালালিতে সুবিধা করতে পারছিল না গৌতম। জমির দালালি করে প্রচুর টাকার মালিক হলেও বিজন কখনও গৌতমকে পাত্তাই দিতেন না। বরং বেআইনিভাবে জমির দালালি নিয়ে বিজনের অপমানের মুখে পড়তে হতো গৌতমকে। সবমিলে বেশ কিছু দিন ধরে বিজনের উপর ক্ষুব্ধ ছিল গৌতম। ঘটনার দিন দু’জনের তিক্ততা চরমে ওঠে। বৃহস্পতিবার গৌতমকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছে অশোকনগর থানা। পুলিসি জেরায় খুনের কথাও স্বীকার করেছে মূল অভিযুক্ত। তবে খুনে ব্যবহৃত গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র গৌতমের নিজের নাকি অন্য কারও কাছ থেকে এনেছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। এ প্রসঙ্গে পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া বলেন, চাকদহের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বসিরহাট হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গৌতমের। পুলিস তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।