উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে সমবায় সপ্তাহ পালন চলছে। এদিন সেই অনুষ্ঠানের শেষদিন ছিল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সরকারের গৃহীত নানান পরিকল্পনা ও ভবিষ্যতের কর্মসূচি ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কৃষি শ্রমিক পাওয়ার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যন্ত্র নির্ভরতা বাড়ছে। কিন্তু সেই যন্ত্র কৃষকরা না কিনে যদি ঋণ হিসাবে পান তাহলে তাঁদের সুবিধা হয়। সেই কাজটিই ওই সমবায় হাবের মাধ্যমে করা হবে। মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, এরাজ্যে সমস্ত কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও শস্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান আর্থিক বছরে কৃষিতে উৎসাহ বাড়াতে বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বণ্টন করা হয়েছে। রাজ্যে পেঁয়াজ চাষের ঘাটতির প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, আমরা পেঁয়াজ চাষ করছি। এখনই যা পরিস্থিতি তাতে ৬০ শতাংশ ঘাটতি আমরা মিটিয়ে ফেলেছি। দ্রুত ঘাটতির বিষয়টিই থাকবে না, এমনই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অরূপবাবু এদিন বলেন, বাংলার নারীশক্তি এখন অগ্রগতির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। রাজ্যের ২ লক্ষ ২০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা খুবই ভালো কাজ করছেন। তাঁদের আরও উৎসাহিত করতে সমবায় দপ্তর কাজ করছে। এই মহিলাদের আরও বেশি ঋণ দেওয়ার জন্যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। চলতি বছরেই আমরা ১২০০ কোটি টাকা কেবল গোষ্ঠীগুলিকে দিয়েছি। পরিবারের মা, বোনেরা স্বনির্ভর হলে তা সমাজের জন্যে যেমন ভালো, তেমনি পরিবারের জন্যে উন্নতির দিশা দেখাতে পারে। মন্ত্রী এদিন রাজ্যের সমবায় দপ্তরকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্যে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমবায়কে কোন অবস্থা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার ইতিহাস সকলের জানা। আর এর জন্যেই আজ কৃষকরা স্বস্তিতে আছেন। এদিকে, এদিন হুগলিতেও সমবায় সপ্তাহের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়েছে। এই উপলক্ষে পোলবায় জেলার মূল অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কৃষকদের মধ্যে উন্নতমানের আলু বীজ বিতরণ করা হয়।