উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তিনি বলেন, আমি একজন মন্ত্রী এবং একজন বিধায়কের আমন্ত্রণে ডোমকলের মহিলা কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। মেয়েদের পড়াশুনার গুরুত্ব অপরিসীম। সেজন্য রাজভবন থেকে রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে বিভেদ করছে। মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও হেলিকপ্টার করে এসেছেন।
এটা বলা হচ্ছে, আমি সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছি। কিন্তু সেটা যদি হতো, তাহলে এখানে কি এসপি থাকতেন না? পুলিসের কোনও আধিকারিক থাকতেন না? কেউ নেই। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, সবার মিলে মিশে কাজ করা উচিত। সব কিছুতে রাজনীতি আনাকে আমি ভুল মনে করি। রাজ্যপাল হিসেবে আমার অনুরোধ, আইনের শাসন-সংবিধানের উপর ভরসা রাখুন। আমার কিছু যায় আসে না, এখানে কে এল না এল। আমি কাজ করব। আমার প্রত্যেক পদক্ষেপ সংবিধানের মধ্যে থেকেই হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২৬ নভেম্বর রাজভবনে সংবিধান দিবস পালন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি আশাবাদী, উনি আসবেন। না আসার তো কোনও কারণ দেখছি না। রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, এতে আমার কিছু হচ্ছে না। কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের সবাইকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমি দেখছি, কিছু লোক বড় পদে বসে আছেন। কিন্তু তাঁদের ব্যবহার ঠিক নেই। এঁদের এটা করা ঠিক হচ্ছে না।
তিনি বলেন, মালদহে গিয়েছিলাম যখন, জাতীয় সড়ক খুব ভালো ছিল। রাজ্য সড়ক দিয়ে যখন গিয়েছিলাম রাস্তা কিছু জায়গায় ভালো ছিল। কিছু রাস্তা আমায় ঝটকা দিয়েছে। আমার একটাই কথা জাতীয় সড়ক হোক, কিংবা রাজ্য সড়ক বা ছোট রাস্তা সব ভালো হোক। হেলিকপ্টারে আসলে এ বিষয়ে আমি জানতাম না। রাস্তা মানুষের জন্য, আর্থিক উন্নয়নের জন্য, পরিবেশের জন্য ভালো হওয়া দরকার। সমান্তরাল প্রশাসন নিয়ে যারা বলছে, তারা নিজেদের ক্ষতি করছে। রাজ্যপাল পদের অসম্মান করছে। তারা কি এত দুর্বল যে তাদের সরকার আমি চালাব। এটা আমি মনে করি না।