উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
প্রায় সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই দ্রুতহারে জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে তৃণমূলের। উল্লেখ্য, আট বছর ধরে একটানা রাজ্যে সরকার পরিচালনার পরেও সেই জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। যার সুবাদে অভূতপূর্ব বিস্তৃতি পেয়েছে রাজ্যের শাসক দলের সংগঠন। বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনেও তৃণমূলের বিজয় তো বটেই, প্রাপ্ত ভোটের নিরিখেও তৃণমূলের আধিপত্য প্রশ্নাতীত। এই সাফল্যের জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন থেকে তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের সমন্বয়ের অভাব অনেক ক্ষেত্রেই প্রকট হয়ে উঠেছে। সেই বিরোধ থেকেই দলের একাংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার মতে, দল ক্ষমতায় আসার পর অনেক ক্ষেত্রে পুরনো মুখ অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে অভিমান করেও কেউ কেউ দূরে সরে গিয়েছেন বলে ওই নেতার দাবি।
তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান বিধায়কের মতে, বসে গেলেও অনেকের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। তাঁদেরকে দলের সাংগঠনিক পরিসরে সক্রিয় করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, সেই উদ্দেশ্যেই আইপ্যাকের তরফে ফোন করে পুরনো কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরনোদের কাজে ফেরানোর পাশাপাশি নতুন মুখের খোঁজও শুরু হয়েছে। দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পিকে নিজেই সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন। বুথস্তর থেকে এলাকায় বিশিষ্টজন, যাঁদের ভাবমূর্তি সমাজে উজ্জ্বল, এমন মানুষকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে আনার জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই জেলা নেতাদের কাছে এলাকাভিত্তিক সম্ভাব্য নামের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সুবাদে অধিকাংশ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের জনসম্পর্কের বহর অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাকে কাজে লাগিয়েই দলে নতুন মুখ আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুথ পিছু চারজনের নামের তালিকা পিকের দপ্তরে পাঠানোর কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। এই তালিকায় নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা ইত্যাদি দিতে হয়েছে। প্রয়োজনে এই তালিকায় থাকা কোনও ব্যক্তিকে সরাসরি পিকের দপ্তর থেকে ফোন করে কোনও তথ্য যাচাই করা হতে পারে। তৃণমূল সূত্রের দাবি, দলের অন্দরে কোন্দল ও দুর্নীতির অভিযোগে কিছু এলাকায় জনবিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছে শাসক দলের। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এলাকায় পরিচিত এবং পরীক্ষিত পুরনো কর্মীদের কাজে ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন মুখের খোঁজ জরুরি বলেই মনে করছেন পিকে। এটা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রস্তুতিরই অঙ্গ বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।