উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এখন প্রশ্ন হল, এতগুলি হস্টেল ওয়ার্ডেন পদ যদি ফাঁকাই থাকে, তাহলে এইসব কলেজ ও স্কুলগুলিতে পাঠরত প্রায় ১০ হাজার নার্সিং ছাত্রী ও ছাত্রের নিরাপত্তা কারা দিচ্ছেন? সুবিধা-অসুবিধা, ভালো-মন্দ কারা দেখছেন? নাকি পুরোটাই চলছে ভগবানের ভরসায়?
সূত্রের খবর, সবগুলিই চলছে ঠেকনা দেওয়া ব্যবস্থায়। লাগোয়া হাসপাতালের সুপার বা স্বাস্থ্যকর্তার মুখাপেক্ষী হয়ে। হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী দিলে, তাঁদেরকেই ওয়ার্ডেন পদে নিয়োগ করে কোনওরকমে মুখরক্ষা চলছে। সরকারি কাজে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বাড়তি প্রয়োজন পড়লে বহু জায়গাতেই তাঁদের আবার কর্তৃপক্ষ তুলে নিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে। পাঠরত এতগুলি ছাত্রী ও ছাত্রের নিরাপত্তা বলতে কিছুই থাকছে না। ন্যাশনালের নার্সিং ছাত্রীদের হস্টেলে শনিবার এক প্রথম বর্ষের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর পর সবচেয়ে প্রথমে এই নিরাপত্তার প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষত, পড়াশোনা শেষ করে নার্সিং ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বহু বাড়ির মেয়েদেরই এই পেশায় আসার আগ্রহ বেড়েছে। অভিভাবক-অভিভাবিকারাও আগের চেয়ে বেশি আগ্রহী। কিন্তু সমাপ্তির মৃত্যুর ঘটনার পর নার্সিং পাঠরত-পাঠরতা ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাবা-মায়ের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে ৩৯টি সরকারি নার্সিং স্কুল, ১০টি সরকারি নার্সিং কলেজ এবং পাঁচটি সরকারি এএনএম ট্রেনিং স্কুল রয়েছে। তার একটিতেও হস্টেল ওয়ার্ডেন নেই। সাধারণভাবে এই পদের উপরই বর্তায় নার্সিং ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় নিরাপত্তা ও দেখভালের দায়িত্ব। সমাপ্তির রহস্যমৃত্যুর সময় ওই হস্টেলে কোনও ওয়ার্ডেন ছিলেন না, বলাই বাহুল্য। কতজন গ্রুপ ডি সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন, তাঁরা কোথায় ছিলেন, কীভাবেই বা এই ঘটনা ঘটতে পারল, তা এখন তদন্তসাপেক্ষ।