শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
জয়পুরিয়া, বঙ্গবাসী কিংবা মুরলীধর গার্লস কলেজে খুবই কম সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। জয়পুরিয়ার অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের খুব সামান্য কয়েকজনই ভর্তি হয়েছেন। হিসেব অনুযায়ী, ১০-১৫ জন ফর্ম পূরণ করেছিলেন। কিন্তু তাও সবাই ভর্তি হননি। মুরলীধর গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ কিঞ্জলকিনি বিশ্বাসের বক্তব্য, আমাদের চারজনই মাত্র ভর্তি হয়েছেন। সাড়া ভালো মেলেনি। বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত বাগচিও অক্ষেপের সঙ্গে জানান, তাঁদের কলেজে নতুন করে খুব কম পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। তাঁর কথায়, ৫০-৫২ জনের বেশি ভর্তি হননি। বি কম পাশ, ইংরেজি অনার্স, এবং ভূগোল আর জুলজিতে ভর্তি হয়েছেন পড়ুয়ারা।
এদিকে, মণীন্দ্র কলেজ কর্তৃপক্ষ আবার শেষ দফায় ভর্তির সংখ্যায় বেশ খুশি। অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত বলেন, আমাদের ১০০টির মতো আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু ভর্তি হতে টাকা জমা দিয়েছেন ৭০ জন। নিউ আলিপুর কলেজও তাদের ভর্তির হার নিয়ে খুশি। অধ্যক্ষ জয়দীপ সারঙ্গী বলেন, আমরা ভালোই সাড়া পেয়েছি। আমাদের ৩৫ জনের মতো ভর্তি হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে গতবারের চেয়ে এবার বেশি পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। তবে বটানি, সংস্কৃত, দর্শন এবং অর্থনীতিতে আসন খালি রয়েই গিয়েছে। স্কটিশচার্চ কলেজে এবার ৪০ জনের মতো টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান ভাইস প্রিন্সিপাল সুপ্রতিম দাস। তবে সবাই নথি যাচাই প্রক্রিয়ায় এঁরা আসবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না তিনি। সুপ্রতিমবাবুর কথায়, কতজন শেষ পর্যন্ত এলেন, তার উপরই বোঝা যাবে এই দফায় কতজন ভর্তি হলেন। সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অবশ্য আর পোর্টাল খোলেনি। তাদের আগের তালিকায় যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে এত দেরিতে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের পঠনপাঠনে বা ক্লাসে যে সব অংশ পড়া হয়ে গিয়েছে, সেই অংশগুলিতে কী করে আবার সেই পড়ুয়াদের প্রস্তুত করা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস নিয়েই বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে।