শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল নাগাদ সিবিআই’কে ই-মেল করে আরও একমাস সময় চান রাজীব। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত কারণে তাঁর আরও কিছুটা সময় লাগবে। কেন তিনি এখন আসতে পারবেন না, সেবিষয়ে কিছু নথিও রাজীব কুমার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের পাঠিয়েছেন। তবে রাজীব কুমারের এই আবেদনে সাড়া দিতে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতার তদন্তকারী অফিসারদের ইতিমধ্যে দিল্লি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজীব কুমারকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ তিনি এর আগেও বিভিন্ন অজুহাতে বা টালবাহানা করে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকী সিবিআই তদন্তে সহযোগিতাও করেননি। এদিন, রাজীব কুমারের ই-মেল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই তদন্তকারীরা আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুরের বাড়িতে চলে যান। ছিলেন সিবিআই’এর যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব, এসপি পার্থ মুখোপাধ্যায় এবং সারদা মামলার তদন্তকারী অতিরিক্ত পুলিস সুপার তথাগত বর্ধন। সেখানে আইনজীবীর কাছে তাঁরা শুক্রবারের আদালতের নির্দেশ এবং এদিন রাজীব কুমার যে ই-মেল পাঠিয়েছেন— তা নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেন।
সূত্রের দাবি, এদিন রাজীব কুমার হাজির না হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শীঘ্রই তাঁকে হাজির হতে বলে দ্বিতীয় নোটিস দেওয়া হবে। তবে এডিজি পদমর্যাদার অফিসার হওয়ায় রাজীবকে সরাসরি গ্রেপ্তারের পথে যেতে চাইছে না সিবিআই। প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে তারপরেই পদক্ষেপ করতে চায় সিবিআই। অন্যদিকে, রাজীব কুমার এখনও কলকাতাতেই রয়েছেন, সূত্র মারফত এবিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাই কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তর এবং দিল্লি বিমানবন্দরকেও রাজীব কুমারের তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি বিমানে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করলেই, সঙ্গে সঙ্গে যাতে সিবিআই’কে জানানো হয়।
এদিকে, এদিন সকাল ১০টায় হাজির না হওয়ার পর বেলা ৩টে পর্যন্ত রাজীব কুমারের জন্য অপেক্ষা করে সিবিআই। তারপরেও হাজির না হওয়ায়, সিবিআই অফিসাররা তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও সাড়া মেলেনি। এরপরে তাঁরা ই-মেল করেন। তার কিছুক্ষণ পরই রাজীব কুমার পাল্টা ই-মেল করে আরও সময় চান।