শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় আমরা বিশেষভাবে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছি। সেই মতো বিবিধ পরিকল্পনা করা হয়েছে। যুব শাখাকে দিয়ে এই প্রথম পকেট ক্যালেন্ডার তৈরি করা হচ্ছে। তেমনই মহিলা মোর্চার তরফে পৃথক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উৎসবের সময়ে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে যেতে চাইছি আমরা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৩৮টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলার প্রতিটি মণ্ডলে যুব মোর্চাকে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পদ্ম শিবিরের প্রত্যেকটি মণ্ডলে অন্তত ৭০ থেকে ৮০টি বুথ রয়েছে। সবক’টি বুথ ধরে ধরে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কাছে যাবেন যুব মোর্চার সদস্যরা। প্রস্তাবিত সেই ক্যালেন্ডারের নকশা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি শহরে এক বৈঠকে আলোচনা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে বিশেষ শারদ সম্মান জ্ঞাপন করা নিয়ে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে দেশজুড়ে শ্যামাপ্রসাদের নামে ভাবাবেগ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তাই শ্যামাপ্রসাদের নিজের রাজ্য বাংলায় এই ইস্যুতে বাড়তি উদ্যোমে ঝাঁপাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের দাবি, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সরাসরি পার্টির ব্যানারে এই ধরনের শারদ সম্মান দেওয়ার বিরোধিতা করেছে। তার বদলে কোনও এনজিও কিংবা অরাজনৈতিক সংস্থার আড়ালে থেকে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা যায় কি না, তা নিয়েই আলোচনা চলছে। জানা গিয়েছে, বিষয়টি স্থির করতে পাঁচ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যার সদস্য হলেন– এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সুকান্ত মজুমদার, দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিশোর বর্মন এবং যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তাপস ঘোষ। সম্প্রতি এই কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছিলেন। শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে বাঙালি ভাবাবেগকে উস্কে দিতে রাজ্যজুড়ে কাশ্মীর ও জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে ১০০টি সেমিনার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও দু’টির কোনওটাই চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। দিল্লি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত হবে।