পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার তথ্য দিতেই রাজ্যের নাম পরিবর্তনের ইস্যুতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে জবাব চাইবে বলেই ঠিক করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমোর পরিকল্পনা মতোই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে সাক্ষাতের সময়। রাজ্য বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ রাখার প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেও কেন তার অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র? নরেন্দ্র মোদির মুখ থেকেই শুনতে চায় টিএমসি। সেই মতো মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে যৌথ চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভা-রাজ্যসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়ান।
অন্যদিকে, গতকাল কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ নিয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের সঙ্গে দেখা করার পর আজ কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশির কাছে দরবার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে সংসদেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরেও কেন সরকারিভাবে বীরভূমের ডিপিএইচডি (দেওচা-পাঁচামি-হরিণসিং-দেওয়ানগঞ্জ) কয়লা ব্লকের বরাত এখনও মিলল না? কেন তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিষয়টি আটকে রয়েছে? মন্ত্রীর কাছে জানতে চান দলের এমপি প্রতিনিধিরা। সংসদ ভবনে কয়লামন্ত্রীর কক্ষে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে চেপে ধরেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়ান, ডা. মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, রাজ্যের প্রাক্তন বিদ্যুতমন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি মণীশ গুপ্তা সহ দলের কয়েকজন এমপি।
এবং তাঁরা এ ব্যাপারে সরব হতেই কেন্দ্রও বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ বাড়িয়েছে বলে দাবি করে বৈঠকের পর তৃণমূল এমপি প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, মন্ত্রী বলেছেন আগামী শুক্রবার এ ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে চুক্তি হবে। চুক্তির পর কাজ শুরু হলে ১২.৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই কয়লা ব্লক ঘিরে বহু কর্মসংস্থান হবে বলেই জানিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রের বরাত মিললেই পশ্চিমবঙ্গ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কাজ শুরু করবে। তারাই খনি থেকে কয়লা তুলবে। কেন্দ্র পাবে মেট্রিক টন পিছু ৪০০ টাকা কোল সেস।
কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টার বৈঠকের পর দলের পক্ষ থেকে মণীশ গুপ্ত জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে টানাপোড়েনের পর ২০১৮ সালের ৬ জুন পশ্চিমবঙ্গকে বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কিন্তু এখনও তা বরাদ্দ করেনি। এবার সেটিই হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, আজ যেভাবে কয়লামন্ত্রীকে চেপে ধরা হয়েছে, একইভাবে আগামীকাল রাজ্যের রেল প্রকল্প নিয়ে সরব হবে বলে ঠিক করেছে তৃণমূল। রেলমন্ত্রী পীয়ূস গোয়েলের সঙ্গে দেখা করে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে মোদি সরকারের কী ভাবনা তা স্পষ্ট হতে চায় তৃণমূল।