পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত হবিবুর গা ঢাকা দিয়ে থাকাকালীন গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। কওসর ধরা পড়ার পর তার উপর সংগঠনের পূর্ণ দায়িত্ব এসে পড়ে। প্রথমে সে তামিলনাড়ুতে ঘাঁটি গাড়ে। সেখানে জেএমবির সংগঠনকে নতুনভাবে গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় হবিবুর। দক্ষিণের রাজ্যে থাকলে তার স্ত্রী ছিল অসমে। সেও উত্তর-পূর্বের রাজ্যে জেএমবির হয়ে কাজ করছিল। পরে হবিবুর সিদ্ধান্ত নেয়, শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতে সংগঠন বাড়ালেই হবে না। তার সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং উত্তরবঙ্গেও জেএমবির একাধিক স্লিপার সেল তৈরি করতে হবে। এরাজ্যে নাশকতা ঘটানোই তার লক্ষ্য ছিল। সেকারণে আনোয়ার বলে এক ব্যক্তির সাহায্যে সে অসমে পালিয়ে আসে। আনোয়ারই তাকে যাতায়াতের টিকিট ও সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
এনআইএ জানতে পারে, অসমে যাওয়ার পর সে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ায়। অসমে জেহাদি কার্যকলাপের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে, এমন যুবকদের খুঁজে বের করে সে। শুরু হয় স্লিপার সেল তৈরির কাজ। পরে সে মেঘালয় পালিয়ে যায়। মূলত এখানে বাংলাভাষী যুবকদের খোঁজা হচ্ছিল। যাতে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এর সঙ্গেই শুরু হয় এরাজ্যেও ভেঙে পড়া সংগঠনকে চাঙা করার কাজ। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূমে নজরদারি কড়া থাকায় জেএমবি নতুন জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল। সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয় উত্তরবঙ্গকে। সেখান থেকে সহজেই বাংলাদেশে চলে যাওয়া যায়। আবার যোগাযোগ রাখা যায় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেও। সেই পরিকল্পনা মতো কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে বেছে নেয় হবিবুর। এরপর অসম থেকে কোচবিহারে চলে আসে এই জঙ্গি। সেখানেই থাকতে শুরু করে। পাশাপাশি জেহাদি খোঁজার কাজও চলতে থাকে। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় সে একাধিক মডিউল তৈরি করে। মূলত আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া যুবকদেরই দলে টানার চেষ্টা চালায় হবিবুর। উন্নত প্রযুক্তিতে কীভাবে বিস্ফোরক তৈরি করা যায়, তাদের সেই প্রশিক্ষণ দেয় হবিবুর নিজেই। পরে আবার সে তামিলনাড়ুতে চলে যায়। সেখানে বসেই সমস্ত মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করত হবিবুর।
এনআইএ’র হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, স্লিপার সেল তৈরির জন্য বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে আসত সে দেশের এক নাগরিক। তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল এদেশে। জেহাদিদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে ভালো অঙ্কের টাকা দিতে হতো। এই খরচ বহন করত হবিবুর। টাকা জোগাড়ের জন্য দক্ষিণ ভারতে একাধিক ডাকাতির ঘটনাও ঘটিয়েছে এই জঙ্গি। ওই টাকা থেকেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক কেনা হতো বলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে।