আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
শুধু গৌতমবাবু নন, মানিকতলায় দ্রুত ভোটের দাবি তুলছেন সেখানকার ওয়াকিবহাল নাগরিক মহলের পাশাপাশি আপামর আম জনতা। কারণ, বিধায়ক না থাকা কার্যত অভিভাবক না থাকার সমান বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পর প্রয়াত হন মানিকতলার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সেদিন থেকেই বিধায়কহীন মানিকতলা। কিন্তু কেন এই অবস্থা? ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে সাধনবাবু জিতেছেন বলে অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই মামলার জেরে এতদিন ভোট করানো যাচ্ছিল না। ভোট না হওয়ায় ক্রমাগত অসন্তোষ বাড়ছিল মানিকতলার বাসিন্দাদের মধ্যে। লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সেই ক্ষোভের আঁচ টের পান কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ও। মানিকতলা সেতুতে তাঁর প্রচার চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা বিধানসভা ভোটের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে রাজনীতির তরজাও শুরু হয়ে যায়। অবশেষে, সোমবার কল্যাণ ওই মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন। তারপরই মানিকতলায় বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ‘আশার আলো’ দেখছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা রত্না মজুমদার বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রে বিধায়ক না থাকায় শংসাপত্রের জন্য অতীন ঘোষের কাছে ছুটতে হয়। রাখাল সাহা, সৌগত মণ্ডলদের দাবি, ‘অনেক হয়েছে রাজনীতির কচকচানি। এবার যত দ্রুত সম্ভব মামলা মিটিয়ে ভোট হোক।’ স্থানীয় উদ্যোগপতি শ্রীপর্ণা বসু বলেন, কিছু কাজ কাউন্সিলারের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। সাংসদের কাছে চট করে পৌঁছনোও সম্ভব নয় অনেকের ক্ষেত্রে। তাই বিধায়ক থাকা খুব দরকার। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এতদিন শূন্য পড়ে থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। মানুষের বড্ড ভোগান্তি হচ্ছে। এবার ভোট হোক। পাশাপাশি স্থানীয় সমাজসেবী নন্দকিশোর আগরওয়ালও দ্রুত ভোটের পক্ষপাতী। তাঁর কথায়, এতদিন ধরে মানিকতলার ভোট না হওয়ায় প্রচুর সমস্যা হচ্ছে মানুষের। আড়াই বছর ধরে একটা কেন্দ্রে বিধায়ক নেই, এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমি একাধিক সংস্থা চালাই। স্কুল, ক্লিনিক রয়েছে। বিভিন্ন কাজে বিধায়ক তহবিলের সাহায্য প্রয়োজন হয়। সেটা পাচ্ছি না। এলাকাবাসী রাজীব পাল চৌধুরীও জানিয়েছেন, কোনও এলাকায় বিধায়ক না থাকাটা একটা শূন্যতা। এলাকার বিভিন্ন প্রকল্প থাকে, যেগুলির জন্য বিধায়ক তহবিলের অর্থের প্রয়োজন হয়। মানিকতলায় সবটাই থমকে রয়েছে। বিধায়ক না থাকায় সেই কাজগুলি হচ্ছে না। পড়ুয়াদের স্কলারশিপের শংসাপত্রের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এই শূন্যতা দ্রুত পূরণ করা জরুরি।