সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়ায় পটলার বাড়ি। এক সময় এলাকায় ব্যাপক দাপট ছিল তাঁর। পুলিস জানিয়েছে, খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন, মাদক আইন, পুলিসের উপর হামলা সহ তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি পুলিস তাঁর সাট্টার ঠেকে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁর মাথায় অপারেশন হওয়ার জন্য ইদানীং খুব একটা পরিশ্রম করতে পারতেন না।
শনিবার বিকেলের পর অর্জুনপুরে রাতভর দফায় দফায় বিদ্যুৎবিভ্রাট হয়। রাত দেড়টা নাগাদ পটলা সহ অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি হয়। পটলা বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে ফোন করে গণ্ডগোলের কথা জানান। খবর পেয়ে বাগুইআটি থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযোগ জানাতে বললেও সেই সময় পটলা অভিযোগ জানাননি। তখন গণ্ডগোল মিটে যায়।
ভোররাতে ৩টে নাগাদ বিদ্যুৎ চলে যেতেই দ্বিতীয়বার পটলার উপর হামলা হয়। খবর পেয়ে বাগুইআটির আইসি সহ পুলিস বাহিনী তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন, ইটের আঘাত পেয়ে বাড়ির সামনেই পড়ে রয়েছেন পটলা। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপারেশনের জায়গায় মারাত্মক চোট পেয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। দ্বিতীয়বার হামলার সময় পটলার বাড়ির লোকজন দেবরাজকে ফোন করেন। তখন তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে বাগুইআটিতে যান দেবরাজ।
দেবরাজ বলেন, দেড়টার সময় জেগে ছিলাম বলে ফোন ধরি। তখন সমস্যা মিটেও যায়। পরে ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সঞ্জীবদার সঙ্গে আমার পুরনো সম্পর্ক। আমরা পুলিসকে বলেছি, আইনি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। বিধাননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (এয়ারপোর্ট) ঐশ্বর্য সাগর বলেন, ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।