ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এই দোকানগুলি ছিল বহু মানুষের রুজি-রুটির অন্যতম সংস্থান। কেউ বিক্রি করতেন খেলনা, কারও দোকানে ছিল কাপ-প্লেট ও অন্যান্য সামগ্রী। আগুন লাগার খবর পেয়েই অনেকেই ভোররাতে চলে আসেন দোকানে। দোকান পুড়তে দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। কেউ কেউ বাকরুদ্ধ হয়ে যান। এক পলকে তাকিয়ে থাকেন দগ্ধ দোকানের দিকে। তাঁদেরই একজন কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, সব শেষ। কীভাবে চলবে সংসার?
অচিন্ত্য পাল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ২০ বছরের দোকান আমার। এক মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। এবার সংসার চালাব কী করে, বুঝতে পারছি না। আরেক দোকানি রাজু অধিকারীর কথায়, আমার ইমিটেশন গয়নার দোকান ছিল। সারা বছরই টুকটাক বিক্রি হতো। মন্দিরে মেলা বসলে তখন বিক্রিবাটা ভালোই হতো। এই দোকানকে এবার দাঁড় করাব কী করে? সঞ্চিতা সনতি নামে এক মহিলা ব্যবসায়ীকে দেখা গেল তাঁর দোকানের সামনে কাঁচুমাচু মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর দুই খুদে সন্তান পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে অবশিষ্ট কিছু আছে কি না, তা খোঁজার চেষ্টা করছে। ওই ব্যবসায়ী বলেন, যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে কী করে হাঁড়ি চড়বে, জানি না। প্রশাসন পাশে না দাঁড়ালে আমরা কোথায় যাব? একদিকে যখন দোকান পুড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা, তখন মন্দিরের আরেক দিকে অক্ষত দোকানগুলির মালিকরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। বর্ণালী সাঁতরা নামে এক মহিলা দোকানদার বলেন, আমাদের দোকান মন্দিরের উল্টোদিকে। রাতে যখন আগুন লাগার খবর পাই, ভেবেছিলাম সবটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানে আসার পর কিছুটা স্বস্তি পাই। কারণ আমাদের দিকে আগুন ছড়ায়নি।