ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
১৯৭৭ সালে তিনি প্রথম বিধায়ক হন বাগদা থেকে। তারপর ১৯৮২ সালে জিতলেও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের অপূর্বলাল মজুমদারের কাছে হেরে যান। অবশ্য ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে ফের বিধায়ক হন তিনি। শেষে ২০০৬ সালে তৃণমূলের দুলাল বরের কাছে পরাজিত হন। এবার বনগাঁ লোকসভা আসনে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রদীপ বিশ্বাসকে। এই জোটের সপক্ষে মত দিয়েছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও। স্বভাবতই মন থেকে মানতে না চাইলেও রাজ্য-রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় কংগ্রেস প্রার্থীর পাশের দাঁড়িয়েছেন এই প্রবীণ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা। বয়স জনিত কারণেই কমলাক্ষ্মী বিশ্বাস এখন আর সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন না। বাগদার কনিয়াড়ার বাড়িতে বসে জোট নিয়ে প্রশ্ন করতেই নবতিপর এই নেতা বললেন, ‘রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না’। ভোট দিতে গিয়ে কি ‘সিংহ’ প্রতীক খুঁজবেন? একটু হেসে পাঁচবারের বিধায়ক বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কংগ্রেস প্রার্থীই এবার আমাদের প্রতিনিধি। ‘হাত’ই আমাদের প্রতীক বনগাঁয়। এটা মেনে নিতে হবে।
পাঁচবার বিধায়ক হলেও বদলায়নি তাঁর জীবনযাত্রা। কনিয়াড়া গ্রামে টিনের ঘরেই বাস করেন এই প্রাক্তন বিধায়ক। তীব্র গরমে যখন গোটা বাংলা ফুটছে, তখন টিনের ঘরের দালানে বসে দলের কথা বলছিলেন এই নেতা। টেবিলে নেতাজির একাধিক ছবি। পাশে বাঁশের লাঠিতে ‘সিংহ’ আঁকা দলীয় পতাকা। তিনি বেরতে না পারলেও এখনও বাড়িতে বসেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বললেন, এই টিনের বাড়িতেই ভালো আছি। রাস্তা দিয়ে গেলে কেউ তো আর ‘চোর চোর’ বলে না।