গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার সকাল থেকে একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন অর্জুন সিং। তাঁর রাজনৈতিক গুরু সিপিএমের দাপুটে নেতা প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদারের বাড়িতে ঘুরে আসেন এক ফাঁকে। মঙ্গলবার কাঁকিনাড়ায় তৃণমূল নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা ধনুষধারী পান্ডের থেকেও আশীর্বাদ নেন তিনি। দিনভর যতটুকু সময় হাতে পান, সবটাই রং খেলে আর জনসংযোগে কাটান তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর নাশ করব’। তাঁর কথায়, ‘পার্থ ভৌমিক এই এলাকার ভূমিপুত্র নন। ভূমিপুত্র হলে নৈহাটি ছেড়ে সোদপুরে থাকতেন না। অথচ এই শিল্পাঞ্চলের মানুষ ২০১১ থেকে ভূমিপুত্র হিসেবে আমাকেই পেয়েছেন। আমরা ১৪০ বছর ধরে এখানে বাস করছি। এলাকার মানুষের আশীর্বাদ আমার উপরে থাকবে’।
এদিকে, দোলের আবহে সোমবার বারাকপুর কেন্দ্র চষে বেড়ান পার্থ ভৌমিক। ওইদিন সকালে নৈহাটিতে প্রভাতফেরিতে অংশ নেন। হাতে তুলে নেন শ্রীখোল। মঙ্গলবার পর্যন্ত কখনও কাঁচরাপাড়া, কখনও আমডাঙ্গা, আবার কখনও নোয়াপাড়া, বারাকপুরে বসন্ত উৎসবে মাতেন তিনি। বলেন, ‘বারাকপুরের মানুষ উন্নয়ন আর শান্তি চায়। ২০১৯ সালের হিংসার পুনরাবৃত্তি কেউ চায় না। ৪ জুন যখন ইভিএম খুলবে, অর্জুন সিং তখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন’। তাঁর বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে যেভাবে ব্যক্তিগত কুৎসা চলছে, সেই প্রসঙ্গে পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘শুধু মুখে বললে হবে না। তথ্য দিয়ে প্রমাণ দিতে হবে। আমার একটিও গাড়ি নেই। যদি কেউ বিরাট সম্পত্তির প্রমাণ দিতে পারেন, আমি পদত্যাগ করব। আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে না পেরে কেউ কেউ টিভি চ্যানেলে বসে শুধু ব্যক্তি কুৎসা করছেন। এর জবাব মানুষ দেবেন’।