গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শুধু মাদক পাচারের অভিযোগ নয়, ‘বহিরাগত’ প্রার্থী হলে ভোটে না লড়ার কথা আগেই জানিয়েছিল বিজেপির একাংশ। আর আশঙ্কাই সত্যি হল রবিবার রাতে ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়। এরপরই বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। তবে, দলের অন্দরে বিক্ষোভের আগুন যে জ্বলছে, তা অজানা ছিল না বিজেপি নেতৃত্বেরও। স্বপন মজুমদারকে যাতে প্রার্থী করা না হয়, তার জন্য বারাসত জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছিল। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির এক প্রভাবশালী নেতার নাড়া ‘কলকাঠিতেই’ শেষ হাসি হেসেছেন স্বপনবাবু। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অশোকনগর বিধানসভার বিজেপির কো-ইনচার্জ সুভাষ রায় বলেন, যাঁকে বারাসতে প্রার্থী করা হয়েছে, তিনি বহিরাগত। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মাদক পাচারের মতো অপরাধে তিনি অভিযুক্ত। এদিকে, বিজেপির অশোকনগর ১ নম্বর মণ্ডলের নেতা শ্যামল দাস বলেন, আমি ২২ বছর ধরে বিজেপি করছি। মাদক পাচারে এক অভিযুক্তকে লোকসভায় প্রার্থী করা হল বাইরে থেকে এনে। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। প্রচারের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হবে। খেলতে নামার আগেই আমরা হেরে বসে আছি। বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, কাজে না নামার বার্তা, আমাদের কানে এসে পৌঁছেছে। আর যাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন তাঁরা আদৌ কতটা বিজেপি, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ২০ জুন গুয়াহাটি স্টেশন থেকে হেরোইন সমেত গ্রেপ্তার করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মজুমদারকে। স্থানীয় পত্রপত্রিকায় সেই সময় স্বপনবাবুকে বিজেপি নেতা বলেই উল্লেখ করা হয়েছিল। এনডিপিএস অ্যাক্টের ২১ (সি) ধারায় অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল জিআরপি। মামলা নম্বর-১০৫/২০০৭। এনডিপিএস অ্যাক্টের ওই ধারাতেই কামরূপ আদালত স্বপনবাবুকে ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। স্বপনবাবুর দাবি, এরপর জেল থেকে হাইকোর্টে আবেদন করায়, নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী বলেন, আসলে বিজেপির সম্পদ এই ধরনের নেতা, যাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবেন।