সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হাবড়া ১ ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দীর আবাসনে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। শুভ্রবাবুর গলায় ধারালো দা ধরে দুষ্কৃতীরা খুনের হুমকি দিয়ে নগদ টাকা, সোনার গহনা সহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে চম্পট দেয়। বাড়িতে থাকা প্রায় ১৫ হাজার টাকার পাশাপাশি শুভ্রবাবুর স্ত্রী পৌলমীদেবীর গায়ে থাকা সোনা ও হীরের গহনা, ছ’টি মোবাইল সহ অন্যান্য সামগ্রী ডাকাতি করে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে অপারেশনের পর দুষ্কৃতীরা সস্ত্রীক শুভ্রবাবুকে বেঁধে আবাসন থেকে চম্পট দেয়।
ডাকাতির রাতে বিডিও অফিস চত্বরে একজন নৈশপ্রহরী ছিলেন। পাশে বিডিওর আবাসনে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটলেও তিনি কিছুই জানতে পারনেনি বলে পুলিসকে জানিয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে পুলিস কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে সস্ত্রীক শুভ্রবাবু ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। শনিবারও তাঁরা সেইভাবে কারোর সঙ্গে কথা বলেননি। বিডিওর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন শুভ্রবাবু তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আসলে বিডিও অফিস চত্বরের ভিতর আবাসনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, তাঁরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
অন্যদিকে, পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার দুষ্কৃতীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। দুষ্কৃতীরা ডাকাতির সময় হিন্দিতে কথা বলছিল। সেকারণে পুলিস, হিন্দিভাষী দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের তরফেও পুলিসের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। হাবড়া থানার পুলিসের পাশাপাশি জেলার পুলিস আধিকারিকরাও তদন্তে নজরদারি করছেন।