সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম খুলে দিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলবুল সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে টোল ফ্রি ১৮০০৩৪৫৬১৩৫ নম্বরে ফোন করা যাবে। বিপর্যয় মোকাবিলা ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় নয় হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগের জন্যে ওই ব্যবস্থা করতে হয়েছে। হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। কিছু এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে আনা হয়েছে। চন্দননগরের পুর কমিশনার স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, আমাদের পুর এলাকার নদীর চরে প্রায় ৩৫টি পরিবার ছিল। তাঁদের বিকালের মধ্যে সরিয়ে আনা হয়েছে। সমস্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভাতে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় এদিন একটি টিম নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। তিনি বলেন, চণ্ডীতলায় একটি মাটির বাড়ি পড়ে গিয়েছে। জাঙ্গিপাড়ার রাজবলহাটে কিছু পরিবারকে স্থানান্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও নেই।
বৃষ্টি শুরু হয়েছিল শুক্রবার রাত থেকেই। তবে শনিবার সকাল থেকে তা প্রবল আকার ধারণ করে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে জেলা প্রায় ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। দুপুরের পর থেকে শহরে যানবাহন প্রায় অমিল হয়ে যায়। রাতপর্যন্ত জনবসতির বিরাট কোনও ক্ষতির সংবাদ না মিলেও চাষের জমি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষত হুগলির বিভিন্ন মাঠে এখনও ধান আছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মরশুমি সবজির ফলন নিয়েও। আজ, রবিবার দ্বিতীয় দিন কী চেহারা নিয়ে আসে বুলবুল তা নিয়ে রীতিতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।