বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজের বাসিন্দা ওই মেয়েটি। তাঁর বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। পরিবারের বড় মেয়ে হওয়ার সুবাদে পাত্রস্থ করার জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চলছিল। সম্প্রতি বিয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। কেনাকাটাসহ প্রয়োজনীয় কাজও প্রায় শেষের মুখে। সোমবার রাত আটটার সময় ভাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে মেয়েটি ফুচকা খেতে চিত্রিগঞ্জ সাপ্তাহিক বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে ফুচকা খাওয়ার পর দু’জনে যখন বাড়ির দিকে ফিরছিলেন, সেই সময় জলট্যাঙ্কের কাছে পথ আটকে দাঁড়ায় রোহিত ও আমির। কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে মেয়েটির ভাইয়ের বন্ধুর কপালে ঠেকায়। বলা হয়, এখনই চলে যেতে। না হলে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়া হবে। মেয়েটি চিৎকার করার আগেই তাঁর মুখ চেপে ধরা হয়।
এরপর পাশে অন্ধকারের মধ্যে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। মেয়েটির সঙ্গে থাকা ভাইয়ের বন্ধুটি পালিয়ে গিয়ে বাড়িতে কাউকে বলতে সাহস পায়নি। শেষ পর্যন্ত হামলাকারীদের হাত থেকে অনেক কষ্টে নিজেকে মুক্ত করেন নির্যাতিতা। বাড়ি ফিরে মা ও বাবার কাছে পুরো বিষয়টি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাড়ির সকলে মেয়েকে নিয়ে থানায় যান। অভিযুক্তদের ধরার দাবি জানান। হামলাকারীদের কঠিন শাস্তি দাবি করা হয়।
ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানার পরই মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দু’টি দল ভাগ করে অভিযুক্তদের খোঁজে নামে। গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিস। এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার কার্যত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। মেয়ের কী হবে এই চিন্তায় দিশেহারা।