বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
জেলা কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে হুগলি জেলায় প্রায় ৮৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে চাষিরা আলু লাগিয়েছিলেন। একইভাবে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও প্রায় সাড় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়েছিল। যার মধ্যে অকাল কালবৈশাখীর জেরে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে মাঠে জল দাঁড়িয়ে যায়। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা জেলার ১৯৯৯টি মৌজায় সমীক্ষা করে ১৮৮৪টি মৌজায় আলু, পেঁয়াজ ও সব্জির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী আলুতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এবং পেঁয়াজ ও সব্জির ৮০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক পরিদর্শনেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হবে এই আশঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দিয়ে বিমার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদনও সংগ্রহ করেছে কৃষি দপ্তর। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় শস্যবিমার আওতায় থাকা দেড় লক্ষ চাষির অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন। তাই চাষিদের সুবিধার জন্য জেলায় প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর বিমা কোম্পানির কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে পোলবা ও ধনেখালি ব্লকে আলু ও সব্জি চাষ প্রায় ৯০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। একইভাবে বলাগড় ব্লকে ৯০ শতাংশ পেঁয়াজ চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় ঝড়বৃষ্টির কারণে হুগলির আম চাষেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও ভোটের মুখে কৃষকদের সর্বনাশ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। বিমার টাকা ও ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে শাসকদল পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগের আঙুল তুলেছে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, আমরা চাই সমস্ত চাষিই তাঁদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাক। কিন্তু, তা না করে বাছাই করা কিছু লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল বলেন, ঝড়বৃষ্টিতে বিমা করা চাষিদের পাশাপাশি যাঁরা বিমা করেননি, তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। কংগ্রেসও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায়, সেই দাবি তুলেছে।