বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
দামি গাড়ি-বাড়ি বা হীরে-জহরতে মোড়া থাকাই কি প্রকৃত সুখ? শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের স্টলে ‘কফি হাউস’ গানটির বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্ন তুলছিল আসানসোল থেকে আসা একটি গানের দল। চলছিল আলোচনাও। তাঁদের বক্তব্য, এই গানটায় পুরুষ চরিত্রগুলোর অধিকাংশই পরবর্তীকালে অসুখী জীবন কাটিয়েছে। কিন্তু শাঁসালো পাত্র বিয়ে করে সুজাতাই নাকি সবচেয়ে সুখী হয়েছে। বাঙালির নস্টালজিয়া উসকে দিয়ে মান্না দে’র গাওয়া এই কালজয়ী গানটিকে পুরুষতান্ত্রিক প্রভাবে দুষ্ট হিসেবে অভিযোগ করেছে তারা। কেউ কেউ একমত না হলেও অনেকেই সাহসী প্রশ্নটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টলের বাইরে লোকগীতি গাইছিল একটি দল। তাদের মূল সুর ছিল ঐক্য। সারা দেশে বিদ্বেষের বিষ ছড়াচ্ছে। সেই আবহকে নস্যাৎ করতে একের পর এক মিলনের গান শুনিয়ে যাচ্ছিলেন গায়ক। আর মেলা প্রাঙ্গণের উত্তর দিকের মঞ্চে তাঁর বিখ্যাত আবৃত্তি শোনাচ্ছিলেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ বিভোর হয়ে শুনছিলেন।
মিত্র ও ঘোষ মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের দু’টি বই এবার প্রকাশ করেছে। সেই উপলক্ষে স্টলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল নিজে। ‘ভারতকেশরী যুগপুরুষ শ্যামাপ্রসাদ’ এবং ‘যা ছিল আমার দেশ’ বই দু’টি নিয়ে বহু পাঠকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তাঁরা বইগুলি কিনে লেখকের অটোগ্রাফও জুটিয়ে নিতে পেরেছেন। সার্বিকভাবে বইমেলার যা পরিবেশ, তা থেকে খুব একটা আলাদা ছিল না লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন চত্বরও। সেখানে ভিড় উপচে পড়েছে। কিন্তু বিক্রির চেয়ে আড্ডা আর বই ঘেঁটে দেখাই চলেছে বেশি। তবে, এগুলির ইতিবাচক দিক রয়েছে বলেও মনে করছেন বিক্রেতারা।
নবজাতক-এর বুলবুল ইসলাম বলেন, ময়দানের সেই ভিড়টা আমরা খুবই মিস করি। কিন্তু সেটা তো আর পাওয়া যাবে না। সল্টলেকে আসা সেই তুলনায় খুবই ঝক্কিরও। তবে, আফশোস করে লাভ নেই। বইমেলা এমন একটা জায়গা যেখানে বহু পুরনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎই দেখা হয়ে যায়। তারপরে একটু আড্ডা তো জমবেই। এটা মেনে নিতেই হবে। কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘুরলে খিদেও পাবে। তাই ফুডকোর্টে ভিড় হবে। যত মানুষ রয়েছেন, তার চেয়ে খাবারের স্টলের সংখ্যা কম। তাই লাইনও পড়ে যাচ্ছে। আমাদের স্টলে এদিন ভিড় বেশি থাকলেও বিক্রি শনিবারের চেয়ে কমই হয়েছে। তবে, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছিল গত রবিবার। এদিন বিক্রি খুব বেশি না হলেও সেটাকে খুব একটা নেতিবাচকভাবে নিতে নারাজ অন্য বিক্রেতারাও। তাঁদের বক্তব্য, মল-মাল্টিপ্লেক্সের হাতছানি উপেক্ষা করে সরস্বতী পুজোর দিন নতুন প্রজন্ম যে এত দূরে বইমেলায় আসছে, এটাও একটা ইতিবাচক দিক। বইয়ের সঙ্গে এই ছোঁয়াছুয়ির সম্পর্কটাও থাকা দরকার, হেসে বললেন এক প্রকাশক।