বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এর আগে অভিযোগ ছিল, সরকারি ডায়ালিসিস পরিষেবা না থাকা সত্ত্বেও, দু’জন ডায়ালিসিস টেকনোলজিস্টকে দিনের পর দিন রেখে দিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনকী স্বাস্থ্য অধিকর্তার নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁদের ‘রিলিজ’ করা হয়নি। এবার ক্যান্সার রোগীদের জন্য রেডিওথেরাপির যন্ত্র ও পরিষেবা না থাকা সত্ত্বেও একজন রেডিওথেরাপি টেকনোলজিস্টকে পাঠানো হয়েছে ন্যাশনালে। এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে হাসপাতালে।
ন্যাশনাল ও স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, যন্ত্র না থাকায় অয়ন মান্না নামে ওই এমটিকে (রেডিওথেরাপি) বর্তমানে সুপারের অফিসে কাজ করানো হচ্ছে। একজন প্রশিক্ষিত ‘যন্ত্রী’র ক্ষেত্রে যা যথেষ্ট দৃষ্টিকটু বলেই মনে করছেন কর্মী ও চিকিৎসকদের একাংশ। ডায়ালিসিস টেকনোলজিস্টদের ক্ষেত্রেও এর আগে তাই হয়েছিল। মহাদেব চক্রবর্তী ও সঞ্জয় দাস নামে দু’জন ডায়ালিসিস টেকনোলজিস্টকে নিউরোলজি ও ইউরোলজি বিভাগে যন্ত্র চালানোর সঙ্গে সম্পর্কহীন কাজ করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে রবিবার ফোন করা হয়েছিল ন্যাশনালের সুপার ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে। তিনি ফোন ধরেননি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, এ ধরনের ঘটনা, আগেই ঘটে গিয়েছে। এখন আর সেই ভুল হবে না। ওকে জেনেশুনে আগেই পাঠানো হয়েছে। কারণ, ন্যাশনালে রেডিওথেরাপির যন্ত্র শীঘ্রই লাগানো হবে। অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ডের (এইআরবি) একাধিক কড়া নিয়ম অনুযায়ী, এমটি (রেডিওথেরাপি) হাসপাতালে থাকা আবশ্যক। যন্ত্র আসার আগেই।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত ও লোকবলের সমস্যা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টার কসুর করছেন না। কিন্তু, দপ্তরের পরিকল্পনার অভাবে বহুক্ষেত্রেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হলেও ফল পাচ্ছে না সরকার এবং সাধারণ মানুষ। যেমন পাঁচশোরও বেশি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের (রেডিওডায়গনোস্টিক) বেতন দিতে কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও বর্তমানে তাঁদের অর্ধেকের প্রায় কাজই নেই বা রয়েছে ন্যূনতম কাজ। অয়নবাবু, মহাদেববাবু বা সঞ্জয়বাবুদের মতো প্রশিক্ষিত কর্মীদের যেজন্য কাজে নেওয়া হয়েছে, সেটি বাদ দিয়ে অন্য কাজ করানো হচ্ছে। এ নিয়ে সম্প্রতি এমটিদের সংগঠনও স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।