বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে আলু প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পাউডার তৈরির এই কারখানাটি চালু হয়। কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এদিন আন্দোলনে শামিল হওয়া আবুল হাসান বলেন, এই প্রক্রিয়াকরণ কারখানাটির দুর্গন্ধ ও দূষণে বাগবাড়ি, কানাইপুর, সর্দারপুর ও নাজিরপুর গ্রামের মানুষ অতীষ্ট হয়ে উঠছে। মাঝে মধ্যেই গ্রামের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে আমরা বারবার জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এদিন আমরা আন্দোলনে নেমেছি। গ্রামের আর এক বাসিন্দা বাবুসোনা রায় বলেন, কারখানা থেকে নির্গত হওয়া দুর্গন্ধে সারাদিন বাড়িতে টেকা দায় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা শিল্পের বিরোধী নই। কিন্তু শিল্পের দূষণের জন্য মানুষ যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে, তা নিশ্চত করতেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। বাবুসোনাবাবু বলেন, এই কারখানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে রাজ্য সরকার গ্রিন ইউনিভারসিটি করার কথা ভাবছে। তাই আমরা চাই প্রশাসন এই কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বালিগোড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৌবীত রায় বলেন, আমি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব নেওয়ার পর কারখানার দূষণ নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে তাঁরা আগে কোনও অভিযোগ জানিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কারখানার ম্যানেজার কৃষ্ণগোপাল পাল। তিনি বলেন, নিয়মিত দুর্গন্ধ ছড়ায় বা গ্রামের মানুষ কারখানার কারণে অসুস্থ হচ্ছেন তা ঠিক নয়। কারণ এই কারখানায় প্রায় ২০০ জন কাজ করেন। দুর্গন্ধের কারণে মানুষের অসুবিধা হলে তাঁরাই আগে অসুস্থ হতেন। কৃষ্ণগোপালবাবু বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সহ সমস্ত দপ্তরের বৈধ কাগজ নিয়েই আমরা কারখানা চালাচ্ছি।