বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে সকলের নজর রয়েছে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র বনাম অমৃতা রায়ের লড়াইয়ে। মুখোমুখি এই লড়াইয়ের পাশাপাশি ব্লক ও বিধানসভায় অঙ্ক কষছেন স্থানীয় নেতারাও। প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে সামনে থেকে ঘাসফুল শিবিরকে লিড দেওয়ার ব্যাপারে মরিয়া হয়েছেন নেতারা। তাঁদের লক্ষ্য ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, যে নেতা নিজের বিধানসভা থেকে তৃণমূলকে ভালো লিড দিতে পারবে, তাঁর প্রভাব আরও বাড়বে। দলের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা দ্বিগুণ হবে। যা বিধানসভায় টিকিট পাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
এমনিতেই ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে বর্তমান বিধায়কদের সম্পর্কে তিক্ততা নতুন নয়। নির্বাচনে ফের মহুয়া জিতে ফিরলে বিধানসভায় টিকিট বিলির ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। মহুয়া মৈত্রের প্রচারে ময়দানে তাঁর ইঙ্গিতও মিলেছে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার একাধিক কেন্দ্রে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যার মধ্যে অন্যতম হল পলাশীপাড়া ও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা। এছাড়াও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা নিয়েও ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এখানকার বিধায়করা আরও লিড বাড়বে বলে তৃণমূল প্রার্থীকে আশ্বস্ত করছেন। শেষ পর্যন্ত দল পুরনো নেতাদের অভিজ্ঞতার উপর ভরসা করবে নাকি তাঁদের অভিভাবক করে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হবে, তা দল ঠিক করবে। কিন্তু, বর্তমানে শাসকদলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ছাব্বিশের বিধানসভার টিকিট নিয়ে নানা সমীকরণের কথা। কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, কালীগঞ্জ বিধানসভা থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে ৩৮ হাজার লিড ছিল। এবার সেই লিড ছাপিয়ে যাবে। এই লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। জনবিরোধী দলের এখানে কোনও জায়গা নেই। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, ময়দানে নেমে আমরা লড়াই করছি। নাকাশিপাড়া থেকে এবার তৃণমূলের রেকর্ড লিড হবে।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ছাব্বিশের নির্বাচন নয়, চব্বিশের লড়াই আমাদের আছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশবিরোধী একটা দলের বাংলায় কোনও জায়গা নেই, সেটাই প্রমাণ করতে হবে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি সৈকত সরকার বলেন, তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে এখন থেকেই খেয়োখেয়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর সুবিধা আমাদের প্রার্থী পাবেন।