বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিবরাজের সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সুনিতা ও শিশু কন্যা টিনা। গত শনিবার থেকে তাঁরা ঝাড়গ্রামে রয়েছেন, ব্যবসা করছেন। এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকায় মাটির জিনিস বিক্রি করছিলেন শিবরাজ। তিনি বলেন, মাটির তাওয়া, হাঁড়ি, কড়াই তৈরি হয় রাজস্থানে। এর গুণমান খুব ভালো। তবে রাজস্থানে ব্যবসা খুব ভালো হয় না। তাই বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে বাংলায় এসেছি। তিনি আরও বলেন, বাংলায় ব্যবসার পরিবেশ খুব ভালো। এখনকার মানুষ, পুলিস, প্রশাসন অনেক সহযোগিতা করছে। বিক্রি ভালো হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি। সুযোগ হলে আবার ব্যবসা করতে ঝাড়গ্রামে আসতে চাই। কিন্তু রাজস্থানে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার। সেখানে ব্যবসার পরিবেশ নেই! সেই রাজ্য থেকে বাংলায় আসতে হচ্ছে ব্যবসা করতে! তাজ্জব ব্যাপার।
শিবরাজের স্ত্রী সুনিতা বলেন, পিক আপ ভ্যান নিজেদের ছিল। সেই ভ্যানে চাপিয়ে বিক্রি করি। পিক আপ ভ্যানের ভিতরেই সংসার চলছে। মাটির তাওয়া ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। গাড়িতেই রান্নাবান্না ও ঘুমোনোর ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে রাজস্থান ব্যবসা করতে বাংলায় চলে আসা এবং এ রাজ্যের ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে প্রশংসা সূচক মন্তব্য করায় রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে এরাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার তৈরির আভাস পাওয়া যায়। কারণ পঞ্চায়েত ভোটে বেশকিছু আসন যায় বিজেপির দখলে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তা আরও স্পষ্ট হতে শুরু করে। কারণ ঝাড়গ্রাম সহ বেশকিছু লোকসভা গিয়েছিল বিজেপির দখলে। এরপর দিল্লির নেতারা ঘন ঘন বাংলায় আসতে শুরু করেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করা। কিন্তু তা আর হয়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বেশিরভাগ বিধানসভা যায় তৃণমূলের দখলে। এরপর বিজেপি আর একটিও ভোটে জিততে পারেনি। বর্তমান সময়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে বাংলায় ব্যবসা করতে আসায় কটাক্ষের সুর তৃণমূলের গলায়।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, বিজেপি শাসিত রাজস্থান বাংলার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। বিজেপি বলে এ রাজ্যের মানুষ ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকেও মানুষ আসছেন, তা আবার প্রমাণিত হল। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, এরাজ্যের মানুষ চাকরি পাচ্ছে না। সেইদিকে খেয়াল রাখা উচিত। তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করেনি। রাজস্থানের মানুষ এসেছেন ভালো বিষয়। কিন্তু এ রাজ্যের কী হাল তা ব্যবসায়ীরা ভালো করে জানে।