হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর সিসাপাড়া মুরাডাঙার বাসিন্দা মাসাদুল শেখ বছর আটেক আগে প্রতিবেশী যুবক শুকবর শেখের স্ত্রী রেক্সোনা বিবিকে বিয়ে করেছিল। মাসাদুল শেখকে বিয়ে করে রেক্সোনা বিবি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এই ঘটনার পর থেকেই দুই বন্ধুর মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে মাসাদুল শেখ দিল্লিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছিলেন। ইদুজ্জোহা উপলক্ষে দিন দশেক আগে বাড়িতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে পাড়ার মোড়ে একটি দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে লুডো খেলছিলেন। অভিযোগ, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অভিযুক্ত শুকবর শেখ পিছন দিক থেকে এসে অতর্কিতে মাসাদুল শেখের পিঠে ভোজালির কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাসাদুল লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে স্থানীয়রা ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পরেই স্থানীয়রা অভিযুক্তকে ধরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃতের এক আত্মীয় মজিবর রহমান বলেন, বছর আটেক আগে শুকবরের স্ত্রী রেক্সোনা বিবির সঙ্গে মাসাদুল শেখের ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিছুদিন পরে শুকবরের স্ত্রীকে বিয়ে করে মাসাদুল। সেই ঘটনার পরে থেকেই দুই জনের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি হয়। বিবাদ মেটাতে দুই পরিবারের হস্তক্ষেপে সালিশি সভা বসে। সালিশি সভায় মাসাদুল শেখকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। মাসাদুল শেখ জরিমানার ২ লক্ষ টাকা শোধ করে দিয়েছিল। এদিকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা দিলেও শুকবর শেখ প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ছিল। আগেও বেশ কয়েকবার খুনের টার্গেট নিলেও সফল হতে পারেনি। দিন দশেক আগে বাড়িতে ফিরে আসার পরে থেকেই মাসাদুলকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করে। বৃহস্পতিবার একপ্রকার লুকিয়ে এসে পিছন থেকে ভোজালি ডানদিকে পিঠের অনেকটা ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। ইসলামপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতের স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত শুকবর শেখকে পুলিস গ্রেপ্তার করলেও সে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।