কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়িতে অনুপ্রবেশ সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই শহরের সীমানায় বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সেই সব দেশের বাসিন্দারা এখানে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আটজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ছ’জন, ১৪ ফেব্রুয়ারি একজন এবং ২৫জুলাই একজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরবাইরে ক্যামেরুনের কয়েকজন, ফিনিগালের কয়েকজন এবং চীনের একজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকী, গত জুন মাসে বিস্ফোরক সহ নেপালের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। অধিকাংশ ঘটনাই খড়িবাড়ি থানা এলাকায় ঘটেছে।
ঘটনাগুলি পর্যালোচনা করার পর ওয়াকিবহাল মহল শিলিগুড়িতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে। তাদের বক্তব্য, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই প্রবেশদ্বার এখন বাণিজ্যনগরীতেও পরিণত হয়েছে। দিনকে দিন এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠছে। তাছাড়া, এই শহরের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। কাজেই, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ থেকে দিনে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন বিভিন্ন প্রয়োজনে। কেউ ব্যবসা, কেউ ঘুরতে, কেউ চিকিৎসা করানোর কথা বলে এখানে আসেন। তবে, ভিনদেশিদের অনেকেরই এখানে আসার আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের নামে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কিংবা পর্যটকের বেশে জঙ্গিরা এখানে আসতে পারে। কাজেই, ভিনদেশিদের এখানে আসার বিষয়টি পুলিসের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
বিভিন্ন মহলের ওই আশঙ্কার কথা পুলিস ও গোয়েন্দারাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। তারাও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাই স্বাধীনতা দিবসের আগে মহকুমাজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের দার্জিলিং মোড়, হাসমিচক, চম্পাসারি, এনজেপি সহ বিভিন্ন এলাকায় নাকা তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বাইক সহ বিভিন্ন ধরের যানবাহন আটকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন হোটেল ও লজে নজর রাখা হয়েছে। প্রতিদিন হোটেল ও লজের রেজিস্টার ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাজার, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে নজর রাখছে সাদা পোশাকের পুলিস কর্মীরা। পুলিসের এক অফিসার বলেন, মহকুমাজুড়ে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি নেপাল সীমান্তে কর্তব্যরত এসএসবি জওয়ান, স্টেশনে কর্মরত আরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে।