কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতিবছর বর্ষার সময় জলবন্দি অবস্থার থাকতে হয়। ডিমা নদীর জলে ওই দুই ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশে ঢুকে যায়। বাঁধের মাঝখানে চর এলাকায় থাকার জন্যই প্রতি বছর বর্ষায় ওই দু’টি ওয়ার্ডের মানুষকে প্লাবিত হতে হয়। নদীতে জলস্তর না নামা পর্যন্ত ঘরে জল দাঁড়িয়ে থাকে। বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের তখন ডিমা নদীর বাঁধের উপরে উঠে আশ্রয় নিতে হয়। প্রশাসনের দেওয়া ত্রাণের পলিথিন দিয়ে তাঁবু খাটিয়ে তাঁরা কোনওরকমে কষ্টের মধ্যে দিয়ে রাত কাটান। বাসিন্দাদের পানীয় জল সংগ্রহ করতে কিংবা শৌচকর্ম করতেও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এককথায় দু’টি ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক পরিবার বর্ষার মরশুমে নরক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হয়।
ভুক্তভোগী বিদ্যাসাগরপল্লির বাসিন্দারা বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সৌরভ চক্রবর্তী ভোট চাইতে এসে ডিমা নদীতে আরও একটি বিকল্প বাঁধ তৈরি করার আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু ফের বিধানসভা ভোট আসতে চললেও এনিয়ে তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, আগামী বিধানসভা ভোটে জিতলে আমরা ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য চিন্তাভাবনা করব। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভবাবু বলেন, নদীতে একটা বাঁধ অক্ষত থাকলে দ্বিতীয় বাঁধ তৈরি করা যায় না। তবে ওই দু’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করব।
আলিপুরদুয়ার জেলার সেচদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজকুমার সিং বলেন, নদীতে একটি বাঁধ থাকলে দ্বিতীয় বাঁধ তৈরি করা যায় না। তবে বিকল্প কোনও উপায় বের করা নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে।
বাম আমলে ডিমা নদীর চরে বাসবাস শুরু হয়। পরবর্তীতে পুরসভা ওই চরের একাংশ এলাকা নিয়ে ওয়ার্ড গঠন করে। বাসিন্দারা ভোটের কার্ড পেয়ে যান, সেখানে বিদ্যুতের লাইনও চলে আসে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লিতে প্রায় ৪৫০টি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড মিলনপল্লিতে প্রায় ১৪০টি পরিবার বসবাস করে। নদীর চরেই ওয়ার্ড গঠন হওয়ায় বাসিন্দাদের এখন বর্ষার সময়ে দুর্ভোগ বাড়ছে। ভারী বর্ষায় নদীতে জল বাড়লে প্রাণ রক্ষা করতে ওই দুই এলাকার লোকেরা বাঁধের উপরে গিয়ে আশ্রয় নেন। তাঁরা গোরু, ছাগলও সেখানে নিয়ে যান।