বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
উল্লেখ্য, রাজ্যে যথাযথ সেচের আওতার বাইরে থাকা এলাকাগুলিতে বৃষ্টির জল ধরে রেখে কৃষি ক্ষেত্রে সেচের উন্নতি, বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি, ভূমিক্ষয় রোধ করা সহ নানা উদ্দ্যেশে এই প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছিল। একেবারে তৃণমূল স্তরে বাসিন্দাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের মাধ্যমেই এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় পুকুর খনন, সেচনালা তৈরি, স্বল্প দৈর্ঘ্যের রাস্তা তৈরি, নানা ধরনের চাষ আবাদ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার জেলার প্রকল্প আধিকারিক অরুণ কুমার বসু বলেন, জেলাস্তর থেকে প্রকল্প সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট উপরমহল থেকে চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১১-১২ আর্থিক বছরে রাজ্যজুড়ে ইন্ট্রিগেটেড ওয়াটার শেড প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল। এই স্কিমের আওতায় ধাপে ধাপে রাজ্যে ৭৭টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার আওতায় এই প্রকল্পগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এই প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়েছিল। দফায় দফায় ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ওয়াটার শেড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির আধিকারিকরা এই প্রকল্পের কাজকর্মের মূল্যায়ণও করেছেন। কমপক্ষে পাঁচ বছরের টার্গেটকে নির্দিষ্ট করে এই প্রকল্পের কাজ রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল। তবে মাঝের কয়েক বছর এই প্রকল্পের আর্থিক অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা টালবাহানা চলে। কয়েকটি ইউনিটের ৬০ শতাংশ কাজ হওয়ার পরেও তার রিপোর্ট উপর মহলে সঠিক সময়ে পাঠানো হয়নি। নানা ধরনের টানাপোড়েনের জেরে পরবর্তী আর্থিক বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেয়। এর জেরে অন্তত দু’বছর এই প্রকল্পের কাজে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতি পূরণের জন্য প্রকল্পের সময়সীমা আরও দু’বছর বৃদ্ধি করে সাত বছর করা হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে মার্চ মাসে এই প্রকল্পের তৃতীয় পর্বের আওতায় থাকা যাবতীয় ইউনিটকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ এতদিন কতটা হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট ছবি সহ অনলাইনে পাঠানোর ব্যাপারেও নির্দেশ এসেছে। মূল্যায়ণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় যে ইউনিটগুলি রূপায়ণের কথা ছিল সেগুলি প্রথম পর্যায়ে ঠিকঠাক চললেও পরবর্তীতে কাজ একেবারেই হয়নি। কেবলমাত্র কোচবিহার জেলাতেই এই প্রকল্পে বনাঞ্চলের জন্য প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা এখনও পড়ে রয়েছে। এদিকে যেখানে প্রকল্পটি ঠিকঠাক রূপায়ণ করা যায়নি সেখানে কীভাবে তার ছবি আপলোড করা যাবে তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরাও কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। আধিকারিকদের একাংশের মতে পুরুলিয়া ছাড়া রাজ্যের অন্যত্র বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় জলবিভাজিকা প্রকল্পের কাজ আশানুরূপ হয়নি। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় কাজ সেভাবে হয়নি। কোচবিহারের পাতলাখাওয়ার বনাঞ্চলকে ঘিরে জলবিভাজিকার যে কাজ হওয়ার কথা ছিল তাও যথাযথ হয়নি। এক্ষেত্রে জেলাতে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ফান্ডে থাকলেও তাতে কাজ বিশেষ করা যায়নি।