হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
প্রতিশ্রুতি মতো মঙ্গলবার সকালেই বারাণসী বিমানবন্দর থেকে সোজা সোনভদ্রে পৌঁছন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মার মতো, এটা কংগ্রেসের রাজনৈতিক চমক। গ্রামে পৌঁছনোর ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘উম্ভা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলাম।’ গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন তিনি। সেই ট্যুইট দেখে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উম্ভায় প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত। তিনি আরও বলেন, সোনভদ্রের ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাদের কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত প্রিয়াঙ্কার গান্ধীর করা উচিত। ঘটনার এতদিন পর কী উদ্দেশে কংগ্রেস নেত্রী সোনভদ্রে গিয়েছেন? ইতিমধ্যেই দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও প্রিয়াঙ্কার সফর রাজনৈতিক চমক ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিজেপির সুরেই বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও এদিনের প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সফরকে কটাক্ষ করে বলেছেন, কংগ্রেস তাদের কুমিরের কান্না বন্ধ করুক।
গুলি চালানোর চারদিন পর ২১ জুলাই সোনভদ্রের ওই গ্রামে যান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি ঘটনার জন্য কংগ্রেস আমলের ‘জমি নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা’কে দায়ী করেন। আদিত্যনাথের সফরের দু’দিন আগে সোনভদ্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা। মির্জাপুরের কাছে তাঁর পথ আটকায় প্রশাসন। ওই গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, সেখানে যেকোনও ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ বলে জানানো হয়। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পথ আটকানো ‘অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক’ দাবি করে সরব হয় বিরোধীরা।
এদিন সোনভদ্রে যাওয়ার পথে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর মতে, যে পদ্ধতিতে পুরো বিষয়টি করা হয়েছে, তা অসাংবিধানিক। গণতন্ত্রে এটা কখনই কাম্য নয়। যখন এমন কিছু করা হয়, তখন কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মানা হয়নি।