হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম শোনা যাচ্ছিল। তাঁরা যে উপস্থিত থাকবেন না তা পরিষ্কার। স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবারের মতোই লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকা ধোনি লাদাখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সূত্র বলছে, কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রস্তুতি নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। তার অংশ হিসেবে বর্তমানে উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জম্মু ও কাশ্মীর সফর নির্ভর করছে সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতির উপরে। তবে এমন পরিকল্পনা যে রয়েছে, সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। ওই শীর্ষ আধিকারিক আরও জানান, ‘পরিকল্পনা রয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই সফর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
হিংসা রুখতে এখনও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনিক মুখপাত্র রোহিত কানসালও একই কথা জানিয়েছেন। প্রতিটি জেলায় ড্রেস রিহার্সাল সহ স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
১৯৪৮ সালে প্রথমবার লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ১৯৯২ সালে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির ব্যাপক হুমকির মুখেও সাধারণতন্ত্র দিবসে লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুরলি মনোহর যোশী। সেই সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন তৎকালীন আরএসএস প্রচারক নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯-এর স্বাধীনতা দিবসে সেই দিন ফেরাতে চাইছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদি।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কয়েকদিনের মধ্যেই লালচকে কেন্দ্রের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছেন এনসিপি নেতা মজিদ মেমন। অমিত শাহ কেন এত তাড়াহুড়ো করছেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।