আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ কমিয়ে জিডিপির ৩.৪ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে গিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ৩.৩ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন সীতারামন। কারণ অন্তর্বর্তী বাজেটে যে অনুমান করা হয়েছিল, কর সংগ্রহের পরিমাণ তার থেকে আরও ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি হবে বলে মনে করছে সরকার। সরকারের লক্ষ্য হল আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা। তারই অঙ্গ হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি বাজেটে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে বৈঠকে সেই বিষয়েও আলোচনা করবেন সীতারামন। যাতে সব ক্ষেত্রেই আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্র পূরণ করা সম্ভব হয়। কারণ মোদি সরকার অগ্রাধিকার হল ২০১৪-২৫ সালের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। বিমান পরিবহণ, বিমা ও মিডিয়া ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবারের সাধারণ বাজেটে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ডের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে বলে খবর। পাশাপাশি চলতি অর্থবর্ষে ডিভিডেন্ট হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত অর্থ হাতে পেতে চাইছে সরকার। বিগত অর্থবর্ষের থেকে যার পরিমাণ ৩২ শতাংশ বেশি। একটি অর্থবর্ষে এটিই হবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সরকারের পাওয়া সবচেয়ে বেশি অর্থ। আগের অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে উদ্বৃত্ত অর্থ হিসেবে ৬৮ হাজার কোটি টাকা পেয়েছিল সরকার। তার মধ্যে অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ট ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্য সব বিষয় নিয়েই সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হতে চলেছে বলে খবর।