আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন করদাতাদের সুবিধার্থে ঘোষণা করেন, এবার থেকে প্যান না থাকলেও আধার নম্বরের মাধ্যমেই কর জমা দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে প্যান কার্ড তাহলে কি ‘মৃত’? জবাবে সিবিডিটির চেয়ারম্যান পি সি মোদি বলেছেন, ‘বিষয়টিকে এভাবে দেখা ভুল। প্যান নিশ্চিতভাবেই মৃত নয়। এক্ষেত্রে করদাতাদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, যদি কোনও করদাতা প্যান বাদ দিয়ে আধার দিয়ে কর জমা করেন, তাহলে তাঁর কর প্রদান এবং তার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’ পাশাপাশি, সেইসমস্ত করদাতাকে প্যান প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে আইন অনুযায়ী আধার-প্যান সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। আধার যেখানে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) দেয়, সেখানে প্যান কার্ড প্রদান করে আয়কর বিভাগ। আর সেকারণেই কোনও ব্যক্তি আধার মারফৎ কর জমা করলে, তাঁর আর্থিক প্রোফাইল বিচার করে ওই ব্যক্তিকে প্যান প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া থাকছে অ্যাসেসিং অফিসারের উপর। আর যেহেতু আধার ও প্যানের তথ্যভাণ্ডার একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, সেজন্য আধার মারফৎ কর জমাকারী ব্যক্তিকে প্যান প্রদান করা সহজ। বর্তমানে ১২০ কোটি নাগরিককে আধার নম্বর দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্যান কার্ড রয়েছে ৪১ কোটি উপভোক্তার। আর সেই আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্তিকরণ হয়েছে ২২ কোটি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে আধার-প্যান সংযুক্তির সময়সীমা।
অন্যদিকে, ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ লেনদেনে বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি, অন্যান্য যে সমস্ত ক্ষেত্রে আধার আবশ্যিক ছিল, সেখানেও এখন থেকে আধার নম্বর বাধ্যতামূলক। এমনটাই জানিয়েছেন দেশের রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে। এর জন্য ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের সিস্টেম প্যানের পরিবর্তে আধার কার্ডে আপগ্রেড করতে হবে। তাহলে কি প্যান কার্ডের দিন শেষ? জবাবে অজয়ভূষণ জানিয়েছেন, ‘এটা মানুষের পছন্দের উপর নির্ভরশীল। গ্রাহকদের প্যানের ২২ কোটি তথ্যভাণ্ডার নিজে থেকেই ১২০ কোটিতে পরিণত হয়ে যাবে।’